চাকরি তো দূরের কথা, ফিরেও তাকায়নি কেউ

সারাদেশ, 5 March 2022, 365 বার পড়া হয়েছে,

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় অসহায় জীবনযাপন করছেন ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মিছিল করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক আওয়ামী লীগ কর্মীর পরিবার। মৃত্যুর পর নিহতের স্ত্রীকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা দিলেও তা পূরণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থী জামাত আলীর নির্বাচনী মিছিল করতে যায় চেঁচড়া গ্রামের ইউসুফ আলী মন্ডলের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল মোমিন মন্ডল। পথিমধ্যে বাগজানা বাসস্ট্যান্ডে পাঁচবিবি থেকে হিলিগামী একটি খালি ট্রাক তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ওই দিনই নিহত আব্দুল মোমিনের বড় ভাই মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে চালক তারাজুল ইসলাম ও সহকারী হিরোকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অসহায় পরিবারটি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে। তার বড় মেয়ে মীম এখন দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর তার স্ত্রীর কোল জুড়ে রয়েছে প্রায় দুই মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান।

নিহত আব্দুল মোমিনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানায়, মৃত্যুর দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো নেতাকর্মী এই পরিবারটির খোঁজ-খবর নেয়নি। তাছাড়া চাকরি তো দূরের কথা, খোঁজ নেয়নি কোনো নেতা।

আব্দুল মোমিনের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, মৃত্যুর পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘোষণা দিয়েছিলেন যে রামভদ্রপুর দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়া পোস্টে তার স্ত্রীকে নিয়োগ দিবেন। অথচ এই প্রতিশ্রুতি না রেখে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে হিরা বিবি নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস আলী।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস আলী জানান, ‘নিয়োগের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাকে কোনো কিছু বলেননি। বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আর যেখানে আমিই দিন চালাতে পারি না, সেখানে মোমিনের পরিবারের খোঁজ খবর কীভাবে নেব।