সরকারি হাসপাতালে বেআইনিভাবে এম্বুলেন্স ব্যবসা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 March 2022, 416 বার পড়া হয়েছে,

শেখ রাজেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল প্রকার অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার স্থান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। আর এই হাসপাতালেই রোগীদের জরুরী অবস্থায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে সরকারি এম্বুলেন্স। কিন্তু সেই এ্যম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ সদর উপজেলার সাধারণ মানুষ।

কিন্তু সরকারি হাসপাতালে সরকারি ভাবে দেওয়া এ্যাম্বুলেন্স থেকে কেন বিতারিত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন জনগন। সরকারি এম্বুলেন্স সেবা পেতে ড্রাইভারদের ফোন করলে তা রিসিভড না করা ও ঠিকমত তাদের না পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন ভুক্তভুগী অনেক রোগী।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে সরকারি চাকুরীরত নার্সিং ইন্টিটিউটের সরকারি ড্রাইভার রফিকুল ইসলামও কিছু অসাধু এম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িত। রফিকুল ইসলামের তার সরকারি এম্বুলেন্স ব্যাতিত নিজের রয়েছে ৪ টি এম্বুলেন্স। বহিরাগত এম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের সাথে তাল মিলিয়ে সদর হাসপাতালের ভিতরে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা এম্বুলেন্স ব্যবসা। ফলে দিন দিন ক্ষতি গ্রস্থ’ হচ্ছে সাধারন মানুষ।

তার এই অপকর্মের কারণে কিছুদিন আগে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রফিককে নোয়াখালি বদলি করা হয় কিন্তু তাতেও সে থামে নি। সে নোয়াখালী ডিউটি ছেড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তার এম্বুলেন্স এর ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন।

সূত্রে জানা যায় তার এই অপকর্মের সাথে কিছু উপর মহলের নামধারী নেতা জড়িত আর তাদের সাহায্যে সে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিককে নাম না বলা শর্তে একজন এম্বুলেন্স চালক বলেন, রফিক প্রায় সময় মানুষের কাছে বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছয় সাত কেজি মিষ্টি এবং নেতার বউয়ের জন্য আশুগঞ্জ বাজার থেকে বড় মাছের ব্যাগ বাসায় পৌঁছিয়ে দিলে সব ঠান্ডা কেউ কিছু আমাকে করতে পারবে না।

সরকার কতৃক নির্ধারিত এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ধার্য্য করে দেওয়া হলেও রোগিদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা। ফলে হাসপাতালে আসা ভুক্তভুগি রোগিরা নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওই বেসরকারি এম্বুলেন্স দিয়ে বেশি টাকায় ভাড়া নিয়ে তাদের যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন , একরাম উল্লা বলেন,রফিকের এই বিষয়ে আমি অবগত না। আমি অতি দ্রুত রফিকের ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগ সাথে কথা বলবো
এবং এই বিষয়ে দ্রুত আমি একটি পদক্ষেপ নিব ।

কবে শেষ হবে এই অবৈধ এম্বুলেন্স ব্যবসা, কবে সাধারন মানুষ শান্তিপূর্র্ণ ভাবে হাসপাতালে এসে ভাল ভাবে কম খরচে সুন্দর ভাবে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিককে তার মুঠফোন এ কল করা হলে সে ফোন ধরেননি।