অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে, তখন তাদের জীবনে ধীরে ধীরে নেমে আসে নানা ধরনের অসুবিধা ও অশান্তি। বর্তমানের সংকটময় মুহূর্তে এ ধরনের অসুবিধায় দিন পার করছে দেশের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। যারা লজ্জায় না পারছে কাউকে কিছু বলতে, না পারছে কারও কাছে হাত পাততে।
বিগত বছরে করোনায় দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষত তৈরি করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। উচ্চবিত্তরা ধীরে ধীরে সামলে উঠলেও এর চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে। করোনায় উপার্জন ক্ষমতা বাড়েনি; বরং অনেকে তাদের ছোটখাটো ব্যবসা হারিয়ে সংকটের মধ্যে আছে।
কেউ পেশা হারিয়ে পূর্বের জমানো সঞ্চয় থেকে জীবন নির্বাহ করছে, আবার কেউ আয়ের সঙ্গে খরচের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে জীবনযাত্রার মান কমিয়ে কোনোভাবে দিন কাটাচ্ছে। একদিকে আর্থিক অনটন, অন্যদিকে এ সময়ে যদি দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তাহলে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে চাল, ডাল ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদিসহ অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। এর ফলে সমাজের মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণি খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। তাই এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি যাতে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
– কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, সমাজসেবক ও নারী সংগঠক