মরিচ গুড়ো করার পাটার পুতার (শিল) আঘাতে কুমিল্লা নগরীর নুরপুর চৌমুহনী এলাকার নিজ বাসায় খুন হয় গোলাম রাফি সারোয়ার। খুনের ঘটনায় ওই পরকীয়া প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই নারীর নাম গুলসান আরা বেগম ওরফে রোকসানা আক্তার (৩৪)। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায়।
নগরীর নুরপুর উত্তরপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
বুধবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
পুলিশ সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদের বাসার নীচতলায় ভাড়া থাকেন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী গোলাম সারোয়ার রাফির পরিবার। গত ২৯ জানুয়ারি রাফি তার মাকে নিয়ে বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। মাকে বোনের বাড়ি রেখে রাফি ওই দিনই চলে আসেন তার বাড়িতে। পরদিন রাফির মা সৈয়দা আক্তার বাড়ি ফিরে দেখেন ছেলের শয়ন কক্ষে তালা।
তিনি তালা ভেঙে দেখেন রাফির রক্তাক্ত মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি রাফির মা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান শুরু করে। সোমবার রাতে গুলসান আরা ওরফে রোকসানা নামে একজনকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
স্বীকারোক্তিতে গুলসান আরা জানান, তার স্বামী সৌদি প্রবাসী।
গত দুই বছর ধরে তার সাথে রাফির পরকীয়া প্রেম চলছিল। গত ২৯ জানুয়ারি রাতে রাফি তার মাকে বোনের বাড়ি রেখে এসে মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমিকা রোকসানাকে তার বাসায় আসতে বলে। পরে রাতে রাফি ও রোকসানার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রোকসানা ঘরের ভেতর থেকে পুতা এনে রাফির কপালে ও মাথায় আঘাত করে। এতে রাফি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে রোকসানা বাইর থেকে তালা দিয়ে চলে যায়। এতেই রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।