অনলাইন ডেস্ক : খুচরা বাজারে বাড়তে শুরু করেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুই দিন আগের তুলনায় বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা করে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
এদিকে সয়াবিন তেলের দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ানো বা কমানো হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পর তার এমন ঘোষণার দুদিন না যেতেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা।
দোকানিরা বলছেন, আগের সপ্তাহে এ দর ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। অথচ সরকারিভাবে খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি লিটারে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জানান, চলতি সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরেই এ দাম চলছে।
ছাড়া রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পাম অয়েলের দামও লিটারে ১/২ টাকা বেড়ে ১৩২ থেকে ১৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ থেকে ১৩৬ টাকা। ইকারি বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সমন্বয় করেই খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে বলে জানান তারা।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের শুরুতে সরকারের কাছে লিটারে আট টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো। গত বুধবার এ নিয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠক শেষ বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১৫ দিনে সয়াবিন তেলের দামে কোনো পরিবর্তন হবে না। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।
মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার দোকানি আমজাদ জানান, তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়াও পাম তেল বিক্রি করছেন ১৪৫ টাকায়।
এছাড়াও রাজধানীর অন্যান্য জায়গায় একই দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।