জাকারিয়া জাকির : সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘বাজেটে বলা হলো তারুণ্যের জন্যে ১০০কোটি টাকা রাখা হয়েছে। তাদের ভবিষ্য ও উদ্ভাবনের জন্যে এই টাকা দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু অংকে দেখা যায় শুভঙ্করের ফাঁক। এই কর্মসংস্থানের সুনির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা আমরা পাই না। বেসরকারি খাতে, বিশেষ করে বিদেশী বিনিয়োগ যখন কমে যায় তখন আর তেমন কর্মসংস্থান হয় না
শনিবার (০৩ জুন) বেলা ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন এ কথা বলেন। জেলা শহরের জেলরোডে দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, মাত্র দুইদিন আগে জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দূর্ভাগ্য আমরা অতীতের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বললাম, আমরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বললাম কিন্তু বর্তমানে দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, নানান ধরণের অপসংস্কৃতির যে ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের যে আক্রমণ, তা নিয়ে বাজেটে কথা বলতে পারি নাই।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। কিন্তু আমাদের তরুণরা সেখানে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের প্রতি তারা পথভ্রান্ত হচ্ছে, আমরা দেখি। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে রূপ নেবে, তখন সেই তরুণদের এই পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসতে না পারি তাহলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।