বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমুর বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত রায়হানকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। তিনি ঢাকার বংশাল এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে, নিহত ইকরাম আহমেদ সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরাকান্দা গ্রামের মাসুদ আহম্মেদের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইকরাম আহমেদ ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেদোয়ান আনসারী রিমুর অনুসারী ছিলেন। আর অভিযুক্ত রায়হান রিমুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন। সেই সুবাদে ইকরাম ও রায়হান দুজনেরই তার বাড়িতে যাওয়া-আসা ছিল।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে রায়হান ইকরামের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ইকরাম হত্যার প্রতিবাদে ও এর দ্রুত বিচারের দাবিতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের প্রধান সড়ক হাসপাতাল রোড বন্ধ করে বিক্ষোভ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, ইকরাম ও রায়হানের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ইকরামকে ছুরিকাঘাত করেন রায়হান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।