মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ জন প্রবীণতম নেতাক আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। ২৩ জুন রবিবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জমকালো ও বর্ণাঢ্য এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলন, গহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সম্মাননাপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এড.মোকবুল হাসান তালুকদার।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, মুসলিম মিয়া,আবুল কালাম ভূঞা, এড.হামিদুর রহমান, গোলাম ইসহাক, হিবজুল বারী, নিয়াজ মুহাম্মদ খান, আলী আকবর, আবদুল মতিন দারু, কাজী হারিছুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন, আবদুল হাই মাস্টার, কার্তিক চদ্র দাস, ফুল মিয়া ভূঞা, মিসেস মিনারা আলম, মিসেস মমতাজ বাশার, মিসেস রেহনা বেগম রানী, এড.মোকবুল হাসন তালুকদার, ডা.রাফি উদ্দিন আহেমদ, এড.আজিজুর রহমান,অসীম কুমার পাল, নজির শাহ, মফিজ উদ্দিন, মো.আবদুর রহিম খান, হাজি মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠান সত্তোরার্ধ নেতাদের ফুলের তোড়া, মেডেল, ক্রেস্ট ও শাল উপহার প্রদান করা হয়।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হাজি মুজিবুর রহমান বলেন,৭৫ এর পর আমার বাড়িঘর পুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। আজ আজীবন সম্মাননা পেয়ে মনে হচ্ছে তখনকার বাড়ি পোঁড়ানো আজ সম্মান আর মর্যাদা এনে দিয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ডা.রাফি উদ্দিন বলেন, জীবনভর আওয়ামী লীগ করে বয়সের শেষ সময় এসে যে সম্মান জেলা আওয়ামী লীগ দেখালো তা আমৃত্যু প্রেরণা যোগাবে।
গহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ ২৫ জন নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন ইতিহাস সষ্টি করেছে। তারা বুঝতে পারবে দলের প্রতি সবসময় অনুগত থাকলে ,অবিচল আ¯া রখ দলের কাজ করলে একসময় না একসময় সম্মান আসে। তিনি বলেন, বাংলাদশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলাদশ প্রতিষ্ঠা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই-সংগ্রাম আর এগিয়ে চলার ইতিহাস। আওয়ামী লীগকে বারবার ধংস করার চেষ্টা হলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় স্ফীংসর মতা আকাশে ডানা মেলপ উড়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরা বলন, আওয়ামী লীগ অগ্রসর চিÍার আরেক নাম। তাই যতদিন বৈষম্যহীন সমাজ,ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আওয়ামী লীগের সংগ্রামশীলতা চলবে। তিনি আরও বলেন, প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, তেমনি আওয়ামী লীগের বিকল্প কোন রাজনৈতিক শক্তি ও নয়।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আজীবন সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে সকাল ৬ টায় শহরের হাওলদার পাড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তালোন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহোযাগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।