অস্তিত্বের ভিত্তিমূলে শিক্ষক
–আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সাধারণ লেখাসব, অসাধারণ হয়ে ওঠে, আপনাদের আশীর্বাদে।
আমার অস্তিত্বের সব ভিত্তিমূলে,
নিরলস, নির্মোহ, পরিশ্রম জ্বলজ্বলে।
শীতের সকালে, শিশির মাড়িয়ে,
আঁকা-বাঁকা, উচু-নীচু পথ বেয়ে,
কিছুটা উৎকন্ঠা, চিরচেনা ভয়ে,
শেখার আগ্রহ সাথে করে দ্বারে।
দক্ষিনের ঘরে, লম্বা টোলে একাকি বসে ধারে,
নিরলস ভাবে, কত সহজে,
বুঝাতেন গণিত শেষে।
শ্রদ্ধেয় নিখিল স্যার,
আরামের ঘর, বিছানা ছাড়িয়া, বলিতে “আরিফ বসো”!
দিল খোলা সে, আদরে ভরা,
আর কি শুনিব কভু।
বাংলায় ভাল নাম্বার পেতে লাগবে ভালো হাতের নোট,
কোথায় পাব, দিশেহারা হয়ে,
ভেবে নাহি পায় কূল।
ক্লাশের ফাঁকে, অনুরোধ মোর, শোনেন প্রিয় স্যার নজরুল,
কচি হৃদয় মোর নাচিয়া উঠিল, ড়পেয়ে নোট সব অতুল।
আজো ভাসে মোর নয়ন জুড়িয়া,
সুন্দর লেখাগুলো,
কত কষ্ট, ত্যাগের মহিমায়,
স্নেহাদরে সব সাজালো।
পল্লী সাহিত্য, প্রত্যুপকার, পল্লী জননী, আরো কতো কবিতা-প্রবন্ধ,
সব প্রশ্নের জবাব সাজালেন,
দেহ-মন মন্ত্রমুগ্ধ।
“নেই ভাবনা, লিখে দিব সব, ক্লাশের অবসরে,
ভাল করে, নিও পড়ে, বানান সমেত, যখন হাতে পাবে”।
বাংলায় নম্বর, লেটারের ঘর ছুঁই ছুঁই,
কীযে ভাল লাগা!
কেমন করিয়া, জানাব সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধামালা।
ভূগোলে লেটার পেতে হলে সবে,
গনিত, চিত্র ভাল পারা চায়,
শতভাগের বেশি যত্ন করে,
শিখালেন প্রিয় আবু জাহের স্যার।
গ্রামারের মারপ্যাঁচ, ছোট্ট্র মনে,
ঘুরিয়া ফিরিত সব সময়,
কতবার সাদরে, বুঝিয়ে দিতেন,
বার বার ফিরিত সে অজানা ভয়।
ঢাকা থেকে আগত, গ্রামের ছেলে,
সুপ্রিয় ইংরেজী স্যার।
কতনা সহজ করিয়া বুঝাতেন,
ইংরেজির ভয় কাটিল সবার।
সুপ্রিয় ইংরেজি স্যার, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ,
চিনিত সবাই, সৈয়দ স্যার, এ নামে,
ভয়ে মরিত, নাজানি কখন,”
কোন্ সন্ধ্যারাতে হাজির হয়ে,
চলবে জনে জনে কৈফিয়ত।
“ধর্মতে ভাল নাম্বার পেতে ,
সুন্দর করে সব লিখিবে,
সব ধরনের প্রশ্ন থাকুক,
আসবে লিখে সবই শেষে”।
সহজ, সরল, বিশাল মনের,
সুপ্রিয় আব্দুল মতিন স্যার,
সলাজ হাসি, আদরে মাখা,
ভূলিতে না পারি কথামালা।
মায়ের আদরে, বোনের ছায়ায়,
পড়েছি কতো, বেলা অবেলায়,
পরমা শ্রদ্ধেয়া বীথি ম্যাডাম,
সকল আপুমণি?
আদরে শাসনে করিয়াছে বড়,
আজো নয়নমণি।
সুপ্রিয় শ্রদ্ধাভাজন হেড স্যার,
মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান।
ভিতরে বাহিরে শত বেড়াজালে, নানাবিধ জঞ্জালে,
যুদিষ্ঠীর, বীর, মহাবীর যেমনি রণাঙ্গনে।