ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাল স্বাক্ষরে মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিতের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 4 June 2024, 52 বার পড়া হয়েছে,

নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জাল স্বাক্ষরে দেয়া অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন-২০২৪ স্থগিত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশচয়তা। এ অবস্থায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পুণরায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গত ২ জুন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির এই স্মারকলিপি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্যকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসার চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিষয় নিশ্চিত হয়ে বিগত ১৬ মে এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। এতে ২১ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন দাখিল, ২৮ মে মনোনয়ন বাছাইয়ের তারিখ এবং ৩০ মে মনোনয়ন প্রত্যাহার ও ১০ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে মাদ্রাসার দাতা সদস্য মোঃ এলেম খানসহ কিছু গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ আনেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে মনোনয়ন বাছাইয়ের দিনে প্রিজাইডিং অফিসার বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করে।

তবে অভিভাবক সদস্য পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করেছেন। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য প্রভাবশালীদের দ্বারা ম্যানেজের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে এখানে চাকুরী করছি। আমি টাকা পয়সা খাইনা। আমাকে ম্যানেজ করা এত সহজ না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দ্রত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

মাহাজন মিয়া ও সিরাজ মিয়া সাথে কথা বলে জানা যায়, ৭২ জন ভোটারদের মাঝে আমরা দুইজন ছাড়া বাকি ৭৩ জনেরই স্বাক্ষর জাল বলে দাবি করেন তারা। এলেম খান ও একথার স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, এমন হয়তোবা দু’একটা ভোটারের স্বাক্ষর দেওয়া হয়নি কিংবা ভূল হইতে পারে।