
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন এ অভিযোগ গঠন করেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, আসামি সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন।
এ কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হলো।
এরপর মামলার অভিযোগ তদন্ত শেষ করে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থপ্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে অস্ট্রিয়া প্রবাসী এ বাংলাদেশির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন।