মালয়েশিয়ার আপিল বিভাগ তাদের শাস্তি কমিয়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০টি বেত্রাঘাত নির্ধারণ করেছেন।
২০ সেপ্টেম্বর এ্যাস্ট্রো আওয়ানির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সেলাংগর রাজ্যের আমপাং এলাকা থেকে ৯ কেজি ১৮০ গ্রাম মেথামফেটামিন মাদকসহ আটক করা হয় তাদের। ২০১৯ সালে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের শাস্তি প্রদান করেন আদালত।
বাংলাদেশি আশরাফুল আলম ছাড়াও এই মামলায় অপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ভারতীয় নাগরিক আরিভাঝাগান মুরুগেসান (৫০) এবং মালয়েশিয়ান নাগরিক কে দিনাকারান (৫০)।
আদালত জানিয়েছেন, এই শাস্তি তাদের গ্রেফতার হওয়ার দিন ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এর আগে উচ্চ আদালতে তাদের অপরাধের রায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে অপরাধীরা আপিল বিভাগে তাদের শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেন।
আপিল বিভাগের বিচারক দাতুক হাধারিয়াহ সৈয়দ ইসমাইল, দাতুক আজমান আব্দুল্লহ এবং দাতুক এসএম কোমাথি সুপ্পিয়াহ শাস্তি কমিয়ে আনার এ রায় প্রদান করেন।
তিন অপরাধীর আইনজীবী আফিফুদ্দিন আহমেদ হাফিফি আদালতের কাছে সাজা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালতের সিদ্ধান্ত প্রদানের সময় বিচারপতি হাধারিয়া বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটিতে ত্রুটি রয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে তারা মাদক পাচার করার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে আসলে তারা উৎপাদন করত এগুলো।
বিচারক হাধারিয়াহ আরও বলেন, মাদকের মামলায় তাদের শাস্তি কমিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালে দিনাকারন একজন নিম্নজীবী মানুষ, আশরাফুল তখন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আরিভাঝাগান একজন দিনমজুর। তারা ইতোমধ্যেই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।