এতে গুরুতর আহত হন আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) নামের ওই নারী। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার বিকালের দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। আয়েশা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আহত আয়েশার বোন খালেদা আক্তার জানান, তাদের বাসা আদাবর নবীনগর হাউজিং এলাকায়। আয়েশা মোহাম্মদপুরে সাইনেস্ট গ্রুপ পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার স্বামী রুবেল ঢাকা উদ্যানে ইলেকট্রিকের কাজ করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায়।
আহতাবস্থায় আয়েশা জানিয়েছিলেন, তিনি বাসার সামনে থেকে রিকশা নিয়ে ঢাকা উদ্যান হয়ে মোহাম্মপুর বেড়িবাঁধে গার্মেন্টে যাচ্ছিলেন। পথে নবোদয় হাউজিং বাজারের কাছে পৌঁছলে দুই যুবক রিকশা থেকে নামিয়ে একজন ধরে রাখে আরেকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। তাদের আমি চিনতে পারিনি। তবে আমার কাছ থেকে কিছুই নেয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেকুল মিয়া নামে একজন ট্রাক ড্রাইভার। চার বছর আগে স্ত্রী শেফালি আক্তারের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে সেকুলকে আবারো বিয়ে করতে রাজি হলেও এক মাস আগে শেফালি অন্য একজনকে বিয়ে করেন। ইতোমধ্যে কিছু টাকাও নিয়ে যান শেফালী। এতে ক্ষোভে শেফালিকে খুন করার পরিকল্পনা করেন সেকুল।
এ জন্য শুক্রবার সকালে এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে মোহম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে যান সেকুল। সেখানে সাবেক স্ত্রী শেফালিকে বোরকা পরা অবস্থায় একটি রিকশার মধ্যে দেখতে পেয়ে তারা ওই রিকশার পিছু নেন। এক পর্যায়ে রিকশাটির গতিরোধ করে এর আরোহীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন সেকুল। পরে আঘাত পাওয়া নারী রিকশা থেকে নিচে পড়ে গেলে সেকুল দেখেন, ওই নারী তার স্ত্রী নন। সে সময় শেফালি পাশেই অন্য একটি রিকশায় ছিলেন। সেকুল যাকে আঘাত করেন তার নাম আয়েশা।