নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বাতিঘর ঐতিহ্যবাহী কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান ২৭ এপ্রিল নির্ধারিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এতদ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক আনন্দঘণ পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে অধ্যায়নরত ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ইংরেজি, বৃহস্পতিবার উক্ত বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত ক্ষণ নির্ধারিত হয়। এতে মাননীয় আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এম,পি মহোদয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি দিয়েছেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, নবীনগর উপজেলা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জনাব, মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, এমপি ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জনাব,ফয়জুর রহমান বাদল। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান সংগীত শিল্পীগণ উপস্থিতি থাকবেন বলে জানিয়েছেন উক্ত অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক উপকমিটির উপদেষ্টা ইন্সপেক্টর মোঃ ইকবাল হোসেন।
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ঐশী,দোলা,রাজীব, দেবীকা পোদ্দার এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান যাদুশিল্পী শেখ আব্দুল্লাহ অনুষ্ঠান মাতাবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সার্থক করতে একটি মানসম্মত স্মরণিকা প্রকাশের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্মরণিকা উপকমিটির আহবায়ক শ্রী নারায়ণ চন্দ্র সাহা। শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জনাব সৈয়দ মুহাম্মদ মহসীন বলেন, ” আমরা আশাবাদী সকলের সহযোগীতায় একটি সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।” শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. এস এম শাহনূর বলেন, “আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাজারো নবীন প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় ভরে উঠবে স্কুলের আঙ্গিনা। আমরা অধীর আগ্রহে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি।
১৯১৮ সালের ৫ জানুয়ারি কাইতলার মূল জমিদার বিশ্বনাথ রায় চৌধুরীর পুত্র ঈশানচন্দ্র রায় চৌধুরীর নাতি প্রফুল্লচন্দ্র রায় চৌধুরী (পালক পুত্র) পিতা যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরীর স্মৃতিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে ও এলাকার মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মানসে একটি ইংলিশ মাইনর স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেই স্কুলের পূর্ণাঙ্গ রূপই আজকের কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। উল্লেখ্য, ১৯৪৫ ইংরেজি সালে স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। ১৯৯৭ ইংরেজি সাল থেকে স্কুলটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।