এহসানুল হক রিপন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৯) এর পরকীয়ার জেরে হাছু মিয়া নামে শ্রমিক গলায় ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ভোর ৩ টা হতে ৫ টার মধ্যবর্তী সময়ে
সুহিলপুর উত্তর কেন্দুবাড়ী হাছু মিয়ার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত হাছু মিয়া সুহিলপুর উত্তর কেন্দু বাড়ীর জিল্লু মিয়ার ছেলে। হাছু মিয়ার স্ত্রী খালেদা আক্তার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর লুক্কু ভুঁইয়া মেয়ে। সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম (টেংকেরপাড়া) হেলাল মিয়া (৪০) সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ১ বছর ধরে স্বামী হাছু মিয়ার সাথে স্ত্রী খালেদা আক্তার মাঝে সম্পর্কের ফাটল ধরে। হাছু মিয়ার মা রৌশনারা জানান, গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে খালেদা তার পরকীয়ার প্রেমিক হেলাল মিয়াকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে এসেছে শুনে আমার ছেলে দুই নাতনিকে নিয়ে শুশুর বাড়িতে যান, তখন আমার ছেলে হাছুকে অপমান করে। খালেদা কয় তুই কি বিষ খাইতে পারস না, তুই মরতে পারস না। আমার ছেলে শুধু কান্না কাটি করত। শুশুর বাড়িত থেকে এসে অনেক কান্না কাটি করেন। স্ত্রীর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিগত ৮/১০/২০২১ সালে সদর থানায় হাছু মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী ও পরকিয়ায় আবদ্ধ হেলাল মিয়া পিতা খলিল মিয়া সহিত অষ্টগ্রাম (টেংকের বাড়ি) বিরুদ্ধে অনলাইনে সাধারণ ডায়রী করেন।
এ বিষযে জানতে চাইলে ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেজবাহুল হক বলেন ঘরে তিন সন্তান রেখে মেয়েটি চলে যাবে পরকিয়া প্রেমিক হাত ধরে সত্যিই লজ্জাজনক ঘঠনা। স্ত্রীর পরকীয়ায় আত্মহত্যা করল হাছু। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।