ইউরিয়া সার-সাবান দিয়ে নামি-দামি ব্রান্ডের কসমেটিকস তৈরি

অপরাধ, 5 October 2021, 525 বার পড়া হয়েছে,

জনতার খবর : কোন ধরনের ল্যাবরেটরী কিংবা ক্যামিস্টের বালাই নেই। সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সারসহ বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে তৈরি হচ্ছিল দেশি-বিদেশি নামি-দামি ব্র্যান্ডের কসমেটিকস। এসব নকল প্রসাধনী আবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হচ্ছিল।

বাদ ছিল না নামি-দামি ব্রান্ডেড সুপার শপও।

এসব স্কিন কেয়ারের নকল প্রসাধনীর টিউব এবং প্যাকেট দেখে কোনভাবেই বুঝার উপায় নেই এগুলো নকল।  আজ দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর ডি-ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে নকল এসব প্রসাধনী তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব-১ এর একটি দল। বিএসটিআই এর দুই কর্মকর্তাসহ প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী সামগ্রী। ওই কারাখানাটির মালিক আনিসুর রহমান।

বাবা আ. জলিল শেখ। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। একই ধরনের অভিযোগে কুষ্টিয়া দেওয়ানী আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে।
র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর-৬ নম্বরের ডি ব্লকের একটি নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়।

সেখানে পাকিস্তানের নুর হোয়াইটিং ক্রিম, ইলোরা হোয়াইটিং ক্রিম, স্ক্রিন গ্লো ক্রিম, ভারতের ফেস মি বিউটি ক্রিম, ফেয়ার লুক ক্রিম, লোটাস হোয়াইটিং ক্রিম এবং ফোর কে প্লাস হোয়াইটিং ক্রিম তৈরি হচ্ছিল। আটকের পরপরই কারখানার মালিক তার অপকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার বিএসটিআই নিয়মিত মামলা করবে।
লে. কর্নেল মোমেন বলেন, এসব প্রসাধনী মানুষ ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকে। যা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে মোম, ভ্যাজলিন, সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সার ও নকল সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছিল।

পরে সেগুলো ব্লেন্ডার করে মোড়কজাত বা প্যাকেটিং করে বিদেশি পণ্য বলে চকবাজারসহ বিভিন্ন জায়গাতে বাজারজাত করছিল। এই ধরনের কারখানা পরিচালনার জন্য ক্যামিস্ট ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিসহ অন্যান্য যেসব কিছু থাকা দরকার তার কোনো কিছুই সেখানে ছিল না।