কসবায় পুকুর থেকে নিখোঁজ গৃহবধুর হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 21 November 2021, 366 বার পড়া হয়েছে,
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বাড়ির পাশে পুকুর থেকে কাজল বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধুর হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধু চান্দাইসার গ্রামের শাহ আলম মিয়ার স্ত্রী ও আখাউড়া উপজেলার টনকি গ্রামের খোদা নেওয়াজের মেয়ে। নিহত কাজল বেগম গত দুদিন যাবত নিখোঁজ ছিলেন।
নিহতের পরিবারের দাবী জামাতা শাহ আলম তাদের মেয়েকে হত্যা করে হাত পা বেধে পুকুরে ফেলেছে।

নিহতের পিতা খোদা নেওয়াজ অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৭/১৮ বছর আগে উপজেলার চান্দাইসার গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শাহ আলমের সাথে বিয়ে হয় কাজলের। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই কাজলকে আমার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে দেয়ার জন্য তাকে মারধর করতো শাহআলম। গত এক-দেড় বছর যাবত বেশী মারধর করতো বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য। স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে প্রায় আড়াই মাস আমার বাড়িতেই ছিলেন কাজল। গত ১০ নভেম্বর কাজলের মেয়ে সোনিয়া আক্তার তার মাকে আমাদের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এই টাকার জন্যই জামাই শাহআলম আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে রশি দিয়ে হাত- পা বেধে এবং শরীরের সাথে পাটা বেধে, বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লোক দেখানো খুঁজাখুজি করে শাহ আলম। রোববার সকালে স্থানীয়রা পুকুরে ভাসমান অবস্থায় কাজল বেগমের লাশ দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় স্বামী শাহ আলম।

নিহতের স্বামী শাহ আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে সে জানায়, সে গ্রামের পাশে পুকুর পাহাড়া দেয়। সে তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা।

কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজল বেগমের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আশা করছি শিগগিরই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।