গত ২৪শে নভেম্বর শহরের ফুলবাড়ীয়ার নিজের বাসা থেকে মাদকসহ আটক হওয়ার পর মাহিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা (এফআইআর নং-২৯,তারিখ:২৪/১১/২০২২) হয়।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদে মাহি তার হেফাজতে ফেন্সিডিল রয়েছে জানিয়ে খাটের নিচ থেকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল বের করে দেয়। মিথিলের দেহ তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এজাহারে আরো বলা হয়,ধৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা প্রায় সময়ই বিভিন্ন কায়দা-কৌশল অবলম্বন করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাদক সংগ্রহ করে শহর এলাকায় এনে খুচরা ও পাইকারী মুল্যে বিক্রয় করে বলে পুলিশকে জানায়। সদর থানা পুলিশ জানায়- এ মামলায় এক মাস জেলে থাকার পর জামিনে বেড়িয়ে যায় মাহি ও মিথিল।
চার্জশীটে (অভিযোগপত্র নং-৫১৩, তারিখ:২২শে ডিসেম্বর,২০২২) তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন-তদন্তকালে, স্বাক্ষ্য-প্রমানে এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামলার আসামী মাহী মো: আল মামুন ও মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এরা ভারত সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে রেখে ক্রয়-বিক্রয় করে। তারা একে অপরকে মাদক কেনাবেচায় সহায়তা ও প্ররোচিত করে।
গত ২৪শে নভেম্বর দুপুরে মাহি ও মিথিল ভারতীয় সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে মাহির বাসায় রাখে। পুলিশের অভিযানকালে মাহি মোহাম্মদ আল মামুন নিজের শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল বের করে দেয়। আর মিথিলের প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। মাহি মো: আল মামুন ফেন্সিডিল বিক্রি করার জন্যে নিজ গৃহ ব্যবহার করে বলে চার্জশীটে বলা হয়। মামলার অপর আসামী আরিয়ান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোন স্বাক্ষ্য প্রমান না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।