ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ.লীগ নেতার ছেলেসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চার্জশীট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 3 March 2023, 78 বার পড়া হয়েছে,
নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক ব্যবসার অভিযোগে জেলা আওয়ামীলীগ নেতার ছেলেসহ ২ যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ। সদর মডেল থানার ওই মামলায় শহরের ফুলবাড়ীয়ার মাহি মোহাম্মদ আল মামুন (২৪) ও কলেজপাড়ার মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল (২২) এর বিরুদ্ধে গত ২৩শে ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়।
কোর্ট ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান- আদালত ২২শে ফেব্রুয়ারী চার্জশীটটি গ্রহন করেছে। যা এখন বিচার ফাইলে রয়েছে।

চার্জশীটভূক্ত আসামী মাহি মো: আল মামুন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের ছেলে। অপর আসামী মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল কলেজপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে।

গত ২৪শে নভেম্বর শহরের ফুলবাড়ীয়ার নিজের বাসা থেকে মাদকসহ আটক হওয়ার পর মাহিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা (এফআইআর নং-২৯,তারিখ:২৪/১১/২০২২) হয়।

এসআই মোহাম্মদ সাফায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়- বাদীর ডিউটি চলাকালে গোপনসুত্রে খবর পান শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার ২৮৭ নম্বর বাড়িতে মাহি মো: আল মামুনের শয়নকক্ষে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্যে অবস্থান করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ দল মাহিসহ ৩ জনকে আটক করে।

এসময় জিজ্ঞাসাবাদে মাহি তার হেফাজতে ফেন্সিডিল রয়েছে জানিয়ে খাটের নিচ থেকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল বের করে দেয়। মিথিলের দেহ তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এজাহারে আরো বলা হয়,ধৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা প্রায় সময়ই বিভিন্ন কায়দা-কৌশল অবলম্বন করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাদক সংগ্রহ করে শহর এলাকায় এনে খুচরা ও পাইকারী মুল্যে বিক্রয় করে বলে পুলিশকে জানায়। সদর থানা পুলিশ জানায়- এ মামলায় এক মাস জেলে থাকার পর জামিনে বেড়িয়ে যায় মাহি ও মিথিল।

চার্জশীটে (অভিযোগপত্র নং-৫১৩, তারিখ:২২শে ডিসেম্বর,২০২২) তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন-তদন্তকালে, স্বাক্ষ্য-প্রমানে এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামলার আসামী মাহী মো: আল মামুন ও মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এরা ভারত সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে রেখে ক্রয়-বিক্রয় করে। তারা একে অপরকে মাদক কেনাবেচায় সহায়তা ও প্ররোচিত করে।

গত ২৪শে নভেম্বর দুপুরে মাহি ও মিথিল ভারতীয় সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে মাহির বাসায় রাখে। পুলিশের অভিযানকালে মাহি মোহাম্মদ আল মামুন নিজের শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল বের করে দেয়। আর মিথিলের প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। মাহি মো: আল মামুন ফেন্সিডিল বিক্রি করার জন্যে নিজ গৃহ ব্যবহার করে বলে চার্জশীটে বলা হয়। মামলার অপর আসামী আরিয়ান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোন স্বাক্ষ্য প্রমান না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।