চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়তে পারে 

জাতীয়, সারাদেশ, 11 July 2021, 478 বার পড়া হয়েছে,
ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকবে কি না তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। গতকাল  সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। এর আগে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কভিড- সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ দিলে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়তে পারে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছানো যায়নি। ঈদের আগে গণপরিবহন চলবে কি না- জানতে চাইলে খালিদ বলেন, যদি বিধিনিষেধ চলমান থাকে, তাহলে সেই সুযোগ নেই। আর যদি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা সফল হব।

জীবনে অনেক ঈদ আসবে। বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারব। গরুরহাট চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে : ঢাকার গরুর হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গুলশানের নগর ভবনে কোরবানির পশুর হাট মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ইজারাদারগণের সঙ্গে এক সমন্বয় সভায় মেয়র বলেন, হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া হাটগুলোর প্রবেশ ও বাহির পথ আলাদা থাকতে হবে এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা হবে। কোরবানির হাটের পশুগুলো সর্বসাধারণের জন্য অনলাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হবে।

চলছে ঢিমেতালের লকডাউন : যত দিন যাচ্ছে কঠোর লকডাউন ততই শিথিল হয়ে যাচ্ছে। নগরীর রাস্তাঘাটের চিত্র অনেকটাই স্বাভাবিক। কিছু দোকানপাট, থ্রি হুইলার এবং লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকা ছাড়া লকডাউনের তেমন কোনো প্রভাব ছিল না।

রাস্তায় চলাচল করেছে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এবং যানবাহন। নানা প্রয়োজনে, নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হয়েছেন তারা। ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল ডিএমপি কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছেন ৭০৮ জন। মোবাইল কোর্টে ১৮৪ জনকে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ডিএমপি ট্রাফিক ২৪৪টি গাড়িকে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে। বরিশাল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদন জানান, বরিশালে কঠোর লকডাউন এখন এক কাগুজে আদেশে পরিণত হয়েছে। কিছু দোকানপাট, থ্রি হুইলার এবং লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকা ছাড়া প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক। নগরীতে বেড়েছে মানুষ এবং যানবাহন চলাচল। এদের অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। শারীরিক দূরত্বও অনুসরণ করেন না কেউ। যদিও লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গতকাল পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপর দিকে নগরীতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে এখন আর তেমন নজরদারি দেখা যায়নি।