ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী টাউন খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খনন কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে সোমবার দুপুর থেকে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়। আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর খালটি খনন ও খালের দুই পাড়ের অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।
শহরের জগত বাজার এলাকায় খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদদুস, পানি উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী আবদুল হামিদ ও নদী নিরাপত্তা সংগঠন নোঙরের সভাপতি মো. শামীম আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
খালপাড়ের বাসিন্দারা খালের পানিতেই গোসল করতো। গৃহস্থালির কাজও চলতো এই খালের পানিতে। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থা আর নেই। দখলে-দূষণে খালটি এখন মৃতপ্রায়। এর দু’পাড়েই বেশ কিছু জায়গা দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টানবাজার থেকে কাজীপাড়া ঘেঁষে যাওয়া খালে পানি একেবারেই নেই। দুই পাড়ে আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে আছে। মাঝখানে দুই তিন ফুট জায়গা দিয়ে পানি যাচ্ছে।
নদী নিরাপত্তা সংগঠন নোঙরের সভাপতি মো. শামীম আহমেদ বলেন, টাউন খালটির নব্যতা ফিরেয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছি।
আজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হওয়ায় আমরা খুব খুশি।
পরিচ্ছন্নতা কাজের তদারকিতে থাকা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী খালটিতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, খালটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যের নিদর্শন। জেলা প্রশাসন পরিষ্কারের পাশাপাশি খনন ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে এই কাজের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জেলার সুধী সমাজের চাহিদা ও বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খালের আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করা হয়েছে।