শেষ দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরু বিক্রেতাদের মাথায় হাত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 21 July 2021, 470 বার পড়া হয়েছে,

ঈদুল আযহা, তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবানরা কোরবানির শেষ প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন। অধিকাংশই কোরবানির পশু ক্রয় করে ফেলেছেন। যাদের পশু কেনার বাকি তারাও শেষদিনের হাটে ছুটছেন। শেষ দিন মঙ্গলবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরের প্রধান হাট ভাদুঘর গরুর বাজারে ছিল পশুতে পরিপূর্ণ। কিন্তু সেই অনুযায়ী হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। তাই পশু বিক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে তুলনামূলক কম মূল্যে বিক্রয় করে দিচ্ছেন গরু, অনেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন খামারে। তবে ক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী গরু ক্রয় করতে পারায় খুশি।

কোরবানি ঈদ হাটের শেষ দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় পৌরসভার ইজারা দেওয়া ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হাটে গিয়ে দেখা যায় গরু ও মহিষে পরিপূর্ণ বাজার। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা একেবারে কম। যার ফলে অনেক গরু বিক্রেতা অন্যান্য দিন থেকে অনেকটা কম মূল্যে বিক্রয় করে দিচ্ছেন বাধ্য হয়ে। তাদের দাবি, এই গরু ফিরিয়ে নিয়ে করবো কি? আগামী এক বছর লালন পালন করে আবার বিক্রয় করতে বাজারে এনে সঠিক মূল্য পাওয়ার গ্যারান্টি নেই। অনেকে আবার খামারে ফিরিয়ে নিচ্ছেন গরু। তবে খুশি ক্রেতারা।

গরু মহিষের তুলনায় ক্রেতা বিক্রেতায় জমজমাট খাসি-ছাগলের হাট। হাটে গরু বিক্রয় করতে আসা খামারী মুকিত রহমান বলেন, বাজারের অবস্থা অনেকটা সূচনীয়। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। গরুর সঠিক মূল্য ক্রেতারা বলছেন না। আমিও কিছু গরু এনেছিলাম কিন্তু লাভের মুখ দেখতে পারিনি, লোকসানের মধ্যে আছি।
হাবিবুর রহমান নামের এক খামারী বলেন, এখন গরু বিক্রয়ের চেয়ে বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ভাল। আজকে একলাখ ৪০হাজার টাকার গরু বলে ৮হাজার টাকা। বাজারে যে পরিমাণ গরু উঠেছে, ব্যাপারীদের রাস্তায় বসে কাঁদতে হবে। ১৪০টা গরু ছিল, এখন বিক্রয়ের আরও ১০টি বাকি আছে। কিন্তু যে দামে কিনেছি, তাও আজ কেউ বলছে না।
নরসিংদী থেকে গরু নিয়ে আসা ওয়াসিম আকরাম নামের এক ব্যাপারী বলেন, ‘আমি ২২টি গরু নিয়ে এই বাজারে এসেছিলাম। এরমধ্যে ১১টি গরু বিক্রয় করেছি। কিন্তু বাকি ১১টি গরুর সঠিক মূল্য কেউ বলছে না। ভৈরব বাজারেও এই প্রতিটি গরু ৫লাখ করে দাম বলেছে, অথচ এখানে ৪লাখের বেশি কেউ দাম বলছে না’।জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুজ্জামান বলেন, গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এই বছর কোরবানি পশুর চাহিদা একলক্ষ ৬৩হাজার। কিন্তু এই বছর এই জেলায় পশু রয়েছে একলক্ষ ৭৭হাজার। জেলায় চাহিদার চেয়ে ১৪হাজার পশু বেশি মজুদ ছিল। অগ্রীম অনেকেই অনলাইনে ও খামারে গিয়ে সরাসরি পশু ক্রয় করে ফেলেছিলেন। অনেক খামারে কিছুটা বেশি লাভের আশায় তাদের পশু বাজারে নিয়ে এসেছিলেন। (সরোদ)