শেখ কামাল উদ্দিন, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সালদানদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার বায়েক ও কাইমপুর ইউনিয়নের শতশত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এ সকল এলাকায় আজ শনিবার বিএনপি, জামায়াত, আল্লামা গোলাম হাক্কানী ফাউন্ডেশন, সার্চ অরগানাইজেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবি, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক দিয়ে বায়েক পৌঁছে নৌকা ভাড়া করে কেউ বা পানি দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। এ সকল ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন বানভাসী মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট সোমবার থেকে শুরু করে আজ শনিবার পর্যন্ত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ও পৌর শহরের ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বায়েক এলাকার মাদলা, খাদলা, কৈখলা, নিচিন্তপুর পুটিয়া, শ্যামপুর, বায়েক, কাশিনগর, বালিহুরাসহ ওই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের বাড়ি-ঘর রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বায়েক এলাকায় কসবা-নয়নপুর সড়ক ভেঙে গেছে। এতে করে কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর, জগন্নাথপুর, মন্দবাগসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দি ও গৃহহীন হয়ে পড়ে শতশত পরিবার। হাঁস-মুরগী, গবাদি পশু, ফসল, গাছ-গাছালীর ব্যাপক ক্ষতি সাঊিত হয়। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্কাউটস আশ্রয় কেন্দ্রসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।