রামরাইলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কথিত ঠিকাদার সেন্টু হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 28 February 2024, 93 বার পড়া হয়েছে,
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির তালিকাভুক্ত ঠিকাদার না হয়েও রামরাইল এলাকার ৪০জন গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেন্টু মিয়া নামের এক কথিত ঠিকাদার।
খোঁজ নিয়ে  জানা গেছে, রামরাইল গ্রামের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে বাখরাবাদ  গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ৪০ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ স্থাপন করে সেন্টু মিয়া নামের কথিত  ঠিকাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামরাইল এলাকার কয়েকজন ভূক্তভোগী জানান,সেন্টু মিয়া আমাদের গ্রামের কারো কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা, কারো কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে গ্যাস সংযোগ গুলো দিয়েছেন ও অফিসের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বাড়তি টাকাও নিয়েছেন। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই ও প্রতারক সেন্টু মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বাখরাবাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের একটি সূত্র জানান, গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি রামরাইলে একটি বড় অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে কুমিল্লা প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলেন্স টিমের সহায়তায় ৪০ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন,  ৮ শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন ও ১ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করা হয়। ইতিপূর্বেও আরো কয়েক বার রামরাইল এলাকার এই অবৈধ গ্যাস লাইনটি নিষ্ক্রিয় করেছিলাম। প্রতারণার বেলায়ও সেন্টু এক দাপ এগিয়ে সেন্টুর পিতা মৃত ফজরুল হকের নামে মেসার্স ফাউজিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে বাখরাবাদ গ্যাস  ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স ছিল,৫ ডিসেম্বর ২০২১ সেন্টুর পিতা মৃত্যুবরণ করেন। তাহলে কিভাবে  সেন্টুর পিতা ফজলুল হকের নামের ঠিকাদারী লাইসেন্সটি ২০২৩ সালে ২০২৩-২০২৪ ও ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছর পর্যন্ত নবায়ন কৃত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কোন ঠিকাদারের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় অবশ্যই যার নামে লাইসেন্স তার স্বাক্ষর এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেন্টু মিয়া পিতার স্বাক্ষর জাল করে তার পিতার নামিয় ঠিকাদারি লাইসেন্সটি  নবায়ন করেছেন বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছেন।ইতিপূর্বে সেন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে শিমরাইল কান্দি (দাগন মিয়া রোড) এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার  কারণে  বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা রাহেলা বেগম ২০১০ সালের গ্যাস আইনের ১০ (২) ১২ ধারায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর  ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে জিআর ২১৮৬/২৩ একটি মামলা দায়ের করেন যাহার বিচার কাজ এখনো চলমান আছে।
এ বিষয়ে জানতে সেন্টুর মোবাইলে  বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাখরাবাদ গ্যাস  ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রামরাইল এলাকার অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক টি ইতিপূর্বে   আমরা  উচ্ছেদ করেছি দায়ী  ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব।