সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা- ভাংচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া তিন পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 1 December 2024, 11 বার পড়া হয়েছে,
মো. আজহার উদ্দিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে তিন পরিবারের প্রায় ২৫/৩০ জন সদস্য।
গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের ইমামবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আতঙ্কে এলাকাছাড়া মিজানুর রহমান হিরা প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে আমার চাচাতো ভাই মতর মিয়া মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরেরদিন আরেক চাচাতো ভাই আহাদ মিয়ার স্ত্রী জোহরা খাতুন স্ট্রোক করে মারা যায়৷ তারপর আমাদের সাথে পূর্ব বিরোধের জেরে মৃত মতর মিয়ার লোকজন বিষয়টিকে হত্যা বলে গ্রামে ছড়িয়ে দেয় এবং আমাদের পরিবারের লোকেরা তাদের দু’জনকে মারধর করে হত্যা করেছি এমন মিথ্যা কথা রটিয়ে আমাদেরকে বাড়িছাড়া করে। ঘটনার পর থেকেই আমরা বাড়িতে যেতে পারিনা। এই সুযোগে তারা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুট শুরু করে। তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হামলা-মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে৷
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার অরুয়াইলের সিএনজি স্ট্যান্ডের উত্তর পাশের রাস্তার ফারুক মিয়ার দোকানের সামনে পূর্ব বিরোধের জেরে মিজানুর রহমান হিরা মিয়ার ভাতিজা জিলু মিয়া (৩৫), মুক্তার মিয়া (২৮), জাহাঙ্গীর মিয়া (২১), জিসান মিয়া (৩০) ও আঙ্গুর মিয়া (৩৫) কে একই এলাকার মতর মিয়ার আলমগীর ও সেলিমসহ অনেকে দা-লাঠিসোঁটা ও বল্লম নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে৷ এর সপ্তাহখানেক আগে সরাইল থানার জিআর ৯৫/২৪ মামলার পলাতক আসামী মরর মিয়া, হোসেন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন৷
এই ঘটনার পর গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে সরাইল থানায় অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের মিজানুর রহমান হিরা মিয়ার ভাতিজা জিলু মিয়া বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ৫/৬ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবির খান জানান, মারধরের ঘটনার একটি মামলার দায়িত্বে আছি। ঘটনাস্থলেও আমি গিয়েছি। তাদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুট হয়েছে শুনেছি। খুব দ্রুত অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে৷
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানায় একটি মারামারির মামলা হয়েছে৷ কোন ধরনের হত্যার অভিযোগ পাইনি। কোন বাড়িঘর ভাংচুর বা লুট হয়নি। তবে এধরনের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।