ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়ে ধরাপরে সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ১০জন বাংলাদেশী নাগরিককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া সিমান্ত দিয়ে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে।
শনিবার (২মার্চ) দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সহকারী হাইকমিশন অফিসের সহযোগীতায় বাংলাদেশী নাগরিকেরা আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা নিজদেশে প্রবেশ করেন।
বাংলাদেশে ফিরে আসা নাগরিকেরা হলেন, নড়াইল পেরবিষ্ণুপুর গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা (৪০) একই গ্রামের মুজিবুর শেখের ছেলে মোহাম্মদ রাজু শেখ(৩৫) এক জেলার একই গ্রামের বাবুল মিয়া ছেলে মো: আলামিন মিয়া (৩২)ও মো: আহাদ মিয়া (৩০) জমির মোল্লার মেয়ে কুলসুম বেগম(২৩), আলামিন মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়া(৪) ও সিফাত মিয়া(৬), নারায়নগঞ্জ জেলার ছনপাড়া এলাকার আবুল কাসেমের মেয়ে সুমি আক্তার কাজলী(২৫) তার নবজাতক শিশু ও একই এলাকার মো: কদর আলীর মেয়ে সাজিদা খাতুন(২৪)।
এদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছে। এরা হলেন, বাবুল মিয়ার ছেলে আল আমিন মিয়া তার ভাই আহাদ মিয়া, স্ত্রী কুলসুম বেগম, দুই ছেলে রিফাত মিয়া ও সিফাত মিয়া।
বাংলাদেশে ফিরে আসা নাগরিক আল আমিন মিয়া জানান, উচ্চ বেতন চাকরির আশায় উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের ধর্মনগরে যায়। সেখানে গিয়ে ধর্মনগরের বাসস্ট্যান্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরেন। পরে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানায়। সেখান থেকে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। কারাগারে দীর্ঘ ৬ মাস জেল খাটার পর তাদেরকে নেয়া হয় ভারতের নরসিংহ গড় সেইফহোমে।
দীর্ঘ দুই বছর কারা এবং সেইফহোমে থাকার পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় এই ১০ জন বাংলাদেশী নাগরিক নিজদেশে ফিরে আসেন। এ সময় আখাউড়া সীমান্তে অপেক্ষমান স্বজনদের দেখা পেয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টিহয়। দীর্ঘদিন পর নিজদেশে ফিরে বেশ খুশি ভারত ফেরত বাংলাদেশী নাগরিকেরা।
এসময় দুই দেশের শূন্যরেখায় উপস্থিত ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন অফিসের কর্মকর্তা (কনসুলেট) মো: ওমর শরিফ জানান, দালালের মাধ্যমে চাকরির প্রত্যাশায় তারা ভারতের গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। ভারতে ৬ মাস কারাভোগের পর তারা সেখানকার একটি সেইফ হোমে ছিলেন। পরে আমরা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করে আজ দুই দেশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে নিজদেশ বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেই।
তিনি জানান, এমন বাংলাদেশী নাগরিক আরো রয়েছে। আমরা পর্যায় ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনবো।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রহন করেন, আখাউড়া উপজেলা প্রশানের সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।এসময় তিনি জানান, তারা কাজের সন্ধ্যানে বেরহয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছিলেন। আমরা কাজগ পত্র দেখে আজ তাদেরকে গ্রহন করেছি এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
১০ বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে একই পরিবারের দুই শিশু সহ পাঁচজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জনের বাড়ী নড়াইল জেলায় ও দুই জনের বাড়ী নারায়নগঞ্জের ছনপাড়ায়।