ডেস্ক রিপোর্ট : কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন কবির কলমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গুণীজন সংবর্ধনায় মরনোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বপ্রথম সংবাদপত্র সাপ্তাহিক তিতাস পত্রিকার সম্পাদক, লেখক, গবেষক প্রয়াত রেজাউল করিম। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা দেয় কবির কলম সংগঠন।
এ সময় প্রয়াত সাংবাদিক রেজাউল করিমের (মরনোত্তর) সম্মাননাটি গ্রহন করেছেন তার বড় ছেলে, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি।
এ সময় তার হাতে সম্মাননাটি হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন।
রেজাউল করিম ১৯৬৬ সালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া শেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন সাপ্তাহিক সাকিয়াত পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে। পরে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে সাপ্তাহিক সংকেত ও ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক তিতাস পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর তিনি ২০১৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনীষিদের নিয়ে লেখা ‘যাদের জন্মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধন্য’ বইটি প্রকাশ করেন। পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘ভাষা আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ ও কবি নজরুল ইসলাকে নিয়ে “জাতীয় কবির মর্মকাহন” নামের গবেষনা বিষয়ক গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। তিনি চলতি বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ছাড়াও লেখক হিসেবে গুণীজন সংবর্ধনা (মরনোত্তর) পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক খান ও মিলি চৌধুরী। এছাড়াও গুণীজন সংবর্ধনা পেয়েছেন সুমিতা বর্ধন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান, মোবারক হোসেন, মো. নুরুল হক, আবু আহাম্মদ মৃধা, রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কবির কলম সংগঠনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, বাচিক শিল্পী ও সাংবাদিক মো. মনির হোসেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।