জনতার খবর : গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তীর দিনে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন সংস্কার, দ্রত সকল ট্রেনের যাত্র বিরতি ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে ও সাধরারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত এর সার্বিক পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড: আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ নাগ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মনির হোসেন, আয়কর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উত্তম কুমার দাস, জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, আবরণী নির্বাহী পরিচালক, সাংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজ।
শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব কমরেড ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সমাবেশে জেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন এর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মোঃ শাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সদস্য বিজয় রঞ্জন সাহা, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, সদর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কবির আহমেদ রানা, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. শাহ আলম, জেলা শিল্পী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তৌছির তৌকির আহমেদ, ছাত্রনেত্রী আরেফিন ফাতেমা জুই, ৪ নং ওয়ার্ড নাগরিক ফোরামের সভাপতি জুয়েল রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এখন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু হয়নি। স্টেশনও সংস্কার করা হয়নি। যার কারনে ঢাকা- সিলেট- চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় অসংখ্য ছাত্র, শিক্ষক, রোগী, ব্যবসায়ী চাকরিজীবীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বক্তারা জনদুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে সকল প্রকার ট্রেনের যাত্রা বিরতির জোর দাবি জানান। এসময় তারা ১৫ দিনের মধ্যে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত না হলে সারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আল্টিমেটাম প্রদান করেন।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট প্রচন্ড রকমের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। বক্তাগণ দ্রæত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।