ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১০টি টিম গঠন করে , পরিবেশের সুরক্ষার জন্য ১০০০ লিঃ
ব্লিচিং পাউডার এবং ১৮০০ লিটার জীবাণুনাশক স্প্রে করে , ২১/৭/২১ তারিখ বেলা ২-০০ টা থেকে ২৪/৭/২১ তারিখ বেলা ২-০০ টা পর্যন্ত এই টিম মাঠ পর্যায়ে প্রত্যেক জনের নির্বাহী কর্মকর্তার অধীনে এই টিমগুলি কাজ করবে। এছাড়াও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ মাঠ পর্যায়ের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন। এই কাজের জন্য ৩৭৫টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য এবং পলিউশন মুক্ত রাখার জন্য লিকুইড স্প্রে করা হয়।
৫০০০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং আরও ৫০০০ জন শ্রমিক প্রস্তুত রাখা হয়। প্রত্যেক কাউন্সিলরগণ কে পরিবেশবান্ধব ১০০০ এবং ১৫০০ করে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ সরবরাহ করা হয় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য এবং এই কাজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করার ঘোষণাও দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং তা বাস্তবায়ন ও করা হয়েছে।
তবে মাঠ পর্যায়ে অনেক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে ও অভিযোগ রয়েছে যা প্রকাশ করতে চায় না ভুক্তভোগীরা। কাউন্সিলর, পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুযোগ বুঝে অর্থ ও কামিয়ে নিয়েছে। ঈদুল আযহার পশু কোরবানির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২৫৬টি স্পটে পশু কুরবানীর জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিল।
মাঠ পর্যায়ের শত বাধা ও বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
৪১ টা ওয়ার্ডের মধ্যে বর্জ্য রাত ৮-২০ এর মধ্যে ৯০% অপারেশন করা হয়। ঈদের দিন প্রায় ১৩০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এবার কোরবানি ঈদের জন্য ২৪ টি পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছিল ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি। এই পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বালাই ছিল না এবং এর মধ্যে অনেকগুলো কে জরিমানা করা হয়েছে ভাম্যমান আদালত কর্তৃক, তবে এটা আরো কঠিন ভাবে পালন করা উচিত ছিল যা করতে পারেনি। দেখা গেছে অনেকেই মাস্ক পড়েনি, নোংরা আবর্জনা ভর্তি ছিল, গাদাগাদি করে লোকজনের চলাচল, কোভিদ-১৯ এর জন্য এই পশুর হাট গুলিতে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি ছিল।
প্রতি বছর ঈদুল আজহার কুরবানী আসলে প্রশাসন ঠিক একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত যেমন অনলাইন পশুর হাট, তারপর পশু জবাই খানা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি যাতে করে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়। সর্বোপরি নগরবাসীর রাতে কোন ভোগান্তি না হয় সেদিকে ও দৃষ্টি রাখা উচিত।
– শিরীন, সমাজকর্মী ।