
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলার আসামি দুই ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে। প্রকাশ্যে এমন নির্যাতনে প্রতিবেশীরা বাঁধা দিলেও তাতে কাজ হয়নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয় ওই নারীকে।
ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামী মো. হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। তবে টাকার লেনদেন ও বিভিন্ন পারিবাকি বিষয় নিয়ে শারমীনের সঙ্গে প্রায়ই তার ভাসুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিরোধে জড়ায়। সোমবার বিকেলও স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় দুই ভাশুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনসহ পরিবারের লোকজন তাকেসহ সন্তানদের মারধর করে। এক পর্যায়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি চান।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের দাবি শারমীনের বেপরোয়া চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় শারমীন তার শ্বশুর মন্তাজ মিয়াকে মারধর করে। এরই জের ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শারমিন থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।