আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া এতিমখানা পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 30 July 2025, 167 বার পড়া হয়েছে,

অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন,বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আড়াইবাড়ী দরবার শরীফ। ঐতিহ্যবাহী এ দরবার শরীফের পীরে কামেল আল্লামা হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানী (র) আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থার জন্য গড়ে তোলেন আড়াইবাড়ী লিল্লাহ বোর্ডিং। দ্বীনী ইলম অর্জনের লক্ষ্যে অধ্যয়নরত মেধাবী, হত দরিদ্র, এতিম অসহায় ছাত্রদের ফ্রি থাকা খাওয়ার জন্য আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। যাকাত, ফিতরা, দান, অনুদান, মান্নত ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা এর ব্যয় নির্বাহ করা হয়। তৎকালীন কসবা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোসলেহ উদ্দিনের পরামর্শে জমি ওয়াকফ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরীকৃত ক্যাপিটেশন গ্রহণের মাধ্যমে এতিম নিবাসীদের ভর্তি করা হয়েছে। সেই থেকে পর্যায়ক্রমে এতিমখানাটি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। পীর সাহেবের মুরিদ, ভক্তবৃন্দ, এলাকাবাসী, গ্রামবাসীর আর্থিক সহায়তায় ব্যয় নির্বাহ হয়ে আসছে। এটি বর্তমানে পূর্নাঙ্গতা লাভ করে। প্রতিদিন প্রায় দেড়শ’র উপরে রান্না হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহোদয় ২৯ জুলাই ২০২৫ বাদ আসর আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া এতিমখানায় ছাত্রদের খবরা-খবর জানতে এসেছিলেন। তিনি আসার পর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হল রুমে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে তিনি জাম্বুরা, আম, আনারস, কলাসহ কিছু মৌসুমি ফল তাদের নিজ হাতে তুলে দিয়ে খাওয়ালেন। খেলা-ধুলার জন্য দু’টি ফুটবল দিলেন। তিনি জানতে চাইলেন, তাদের বাড়ীতে যাওয়া হয় কিনা? হলরুমটা তখন নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিলো। এখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাবা-মা বেঁচে নেই। কারও মা বেঁচে নেই, আবার কারও বাবা বেঁচে নেই। কিছু আছেন হতদরিদ্র অসহায়। কেউ কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে কোন কোন সময় যেতে পারে। বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীর যাওয়ার তেমন কোন ভালো জায়গা নেই। তারা সুখে দুঃখে এখানেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এটি এক অন্যরকম অনুভূতি।
তিনি তাদের জন্য ফল-ফলাদি নিয়ে নিজহাতে খেতে দেবেন, প্রাথমিকভাবে কেউ ভাবতে পারে নাই। তারা অত্যন্ত খুশি। লক্ষ্য করা গেছে, তিনি ছাত্রদের সম্বোধন করার সময় হঠাৎ থেমে গেলেন। তাদেরকে এতিম শব্দটা না বলে তোমরা যারা আছো এভাবে বললেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে তাঁর সম্মানিত পিতাও উপস্থিত ছিলেন। আরো ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব আলমগীর হোসেন, আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদরাসার সহকারি অধ্যাপক শেখ মো. কামাল উদ্দিন ও আলহাজ্ব মো: শাহজাহান, কসবা পৌরসভার হিসাব রক্ষণ অফিসার বশির আহমেদ, হোস্টেল সুপার জনাব জি এম জুবাইর, মাওলানা আবদুস সালাম খাঁ, মাওলানা হুমায়ূন কবির ও অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তিনি পবিত্র রমজানে তাদের জন্য ইফতার সামগ্রী উপহার দিয়েছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অন্যান্য অতিথিগণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনা করা হয়।