১৬ হাজার মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন এই নারী

সারাদেশ, 23 November 2021, 391 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে ১৬ হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। সরকারের করোনা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে রিকশাচালক, গৃহকর্মী ও প্রতিবন্ধীসহ ১৬ হাজার নিম্নআয়ের মানুষের ৩২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এ ঘটনায় কথিত ওই এনজিও কর্মকতাকে আটক করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ।

আটক হওয়া ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগের বাসা থেকে তাকে আটক করে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ। এর আগে প্রতারিত কয়েকশ ছিন্নমূল ব্যক্তি ওই নারীর বাড়ি ঘেরাও করেন। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে আনে পুলিশ।

আটকের পর তাকে থানায় নেওয়া হলে রাতে থানার সামনে ভিড় করে কয়েকশ নারী পুরুষ। তাদের সবার দাবি, পুলিশের হাতে আটক কথিত এনজিও কর্মকর্তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। জনগণই তার প্রতারণার বিচার করতে চায়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে করোনা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কয়েক হাজার মানুষের কাছে অর্থ নিয়েছেন ওই নারী। এখন উত্তেজিত জনতা তার প্রতারণার বিচার চাইছেন। আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা করে এনে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল কথিত এই এনজিও কর্মকর্তা। নাম নিবন্ধনের কথা বলে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে ২০০ টাকা করে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও পরিশোধ করা হয়নি অনুদানের টাকা।

ভুক্তভোগীদের দাবি, অনুদান দেওয়ার কথা বলে নাম নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন ওই নারী। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অনুদান পাননি কেউই।

তবে অভিযুক্ত কথিত এনজিও কর্মকর্তার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে অনুদান পেতে কিছুটা দেরি হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন।

অভিযুক্ত এনজিও কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি অনুদান দেওয়ার জন্য। অনুদান পেতে কিছুটা দেরি হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সেইভ অ্যাজ ইউ আর্ন নামের এই এনজিওটি আগে কান্তা ইসলাম নামে আরেকজনের কাছে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দায়িত্ব স্থানান্তর না করেই জান্নাতুল ফেরদৌস প্রতারণা করছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।