ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা এলাকায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৬:৩০ ঘটিকার সময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভিকটিম সোহেল রানার বাবার সাথে বিবাদী পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদীরা ভিকটিমের বাবাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে ভিকটিম তার বাবার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা ভিকটিমকেও এলোপাতাড়ি মারধরের মাধ্যমে গুরুতর জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে, পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ভিকটিম চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- ০৬/১৭, তারিখ- ১৩/০২/২০২৪ খ্রিঃ)।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিএসসি এবং সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর যৌথ অভিযানে গত ২৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬.২০ ঘটিকার সময় সিলেটের জৈন্তাপুর থানাধীন এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামী খলিল মিয়াসহ ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও র্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ ২৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪.৫০
ঘটিকায় সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই মামলার অপরও ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা- খলিল মিয়া (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৩২), আকলিমা বেগম (২৮), কাশেম মিয়া (৭৫)।
সর্ব আসামিদের বাড়ি আশুগঞ্জ আড়াইসিধা রঙ্গিলা বাড়ী, থানা- আশুগঞ্জ।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, উক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে র্যাব-৯, সিপিএসসি এবং সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান।