কোরবানির হাট মাতাবে ‘কালো পাহাড়’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 19 May 2025, 46 বার পড়া হয়েছে,

মো. আজহার উদ্দিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের কোরবানির বাজারে ক্রমেই বাড়ছে প্রস্তুতির ব্যস্ততা। এরইমধ্যে সাড়া ফেলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি খামার—আলহাজ্ব মো. মুসলিম মিয়া এগ্রো ফার্ম। খামারটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে বিশালাকৃতির একটি গরু, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কালো পাহাড়’। গরুটির লাইভ ওয়েট ১ হাজার কেজি, আর দাম ধরা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামে অবস্থিত এ খামারটি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ফার্মটি পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সুজন মিয়া। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই খামারটি স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সুজন মিয়া বলেন, “আমাদের ফার্মের প্রতিটি গরুই প্রাকৃতিক খাদ্যে লালিত-পালিত। কোনও ইনজেকশন বা ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত উন্নত জাতের ঘাস, ভুসি ও প্রাকৃতিক খাদ্যই আমরা ব্যবহার করি।”

বর্তমানে খামারে রয়েছে মোট ৪৫টি গরু, যার মধ্যে দেশি জাতের ষাঁড়, শাইওয়াল (পাকিস্তানি ও ভারতীয় শংকর জাত), ফ্রিজিয়ান (দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনে উপযোগী), সাহিওয়াল-ফ্রিজিয়ান শংকর, ইন্ডিয়ান বলদ (হরিয়ানা জাতের বকনা ও বলদ), দেশি বলদ, দেশি-সংকর ষাঁড় রয়েছে। প্রতিটি গরুই স্বাস্থ্যবান এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ওজনভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। খামারের ৩৮০ থেকে ৪৫০ কেজি ওজনের গরু প্রতি কেজি ৪৯০ টাকা এবং ৫০০ থেকে ৭০০ কেজি ওজনের গরু প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা লাইভ ওয়েট ধরা হয়েছে।

সুজন মিয়া আরও বলেন, “আমরা কেবল গরু বিক্রি করি না, বরং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে মানুষের আস্থা অর্জনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোরবানির জন্য যারা নিরাপদ ও প্রকৃত অর্থে হালাল পশু খুঁজছেন, তাদের জন্য আমাদের খামার হতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য।”

বিশাল গরু ‘কালো পাহাড়’ ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে গরুটির ছবি ও ভিডিও। ধারণা করা হচ্ছে, কোরবানির হাটে এটি হয়ে উঠবে অন্যতম আকর্ষণ।