শুক্রবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। সে আখাউড়া উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। এর আগে বিকেলে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, আব্দুর রহমানের ছেলে চুন্নু মিয়া (৩০), বাবুল মিয়ার স্ত্রী রুপসা বেগম (৪৫), মৃত কাজী সোনা মিয়ার ছেলে কাজী সিরাজ (৬২) ও তার ছেলে কাজী সালেক মিয়া (৩৭), ফয়জুল হক মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া (৩২) ও সালেক মিয়া (৩৪), হান্নান মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া, আলিম মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া। আহতরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম কল্যাণপুর মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়া নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান জানান, আব্দুল হেকিম টাক্কা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরোধিতা করায় স্থানীয় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীর উপর ক্ষুব্ধ ছিল আব্দুল হেকিম ওরফে টাক্কা। এরই জের ধরে বিকেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরশাদুল ইসলাম জানান, আব্দুল হেকিম টাক্কা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে। এঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।