আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলায় এক বিধবা নারীকে চুল কেটে ও মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে আটক করেছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল জেলার ওই নারীর (৪৫) বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুরে। স্বামী মারা যাওয়ার পর স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। এরই মাঝে জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের মৃত জাহের মিয়ার ছেলে মেরাজুলের (৩৫) সাথে তার ‘পরকীয়া প্রেমের’ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি মেরাজুলের স্ত্রী তানজিনা আক্তার জানতে পারে। পরে এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হত।
গত ২২ জুলাই ওই নারীকে মেরাজুলের স্ত্রী তানজিনা আক্তার তার বাবার বাড়ি বেড়তলায় আসার জন্য ফোনে যোগাযোগ করে। সেখানে গেলে তানজিনা ও তার বোন রাশিদাসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে ব্লেড দিয়ে ন্যাড়া করে দেয়। এ সময় ঘটনাটি তারা ভিডিও করে রাখে। সেই ভিডিও বৃহস্পতিবার ফেসবুকের একটি আইডি থেকে ভাইরাল হয়।
এরপরই নড়ে চড়ে বসে পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে রাশেদা বেগম (৩৫), তার সহযোগী মেরাজুল, মেরাজুলের স্ত্রী তানজিনা এবং তার ভাইয়ের স্ত্রী ফেরদৌসাকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করি। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক রাশেদা বেগমসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার ভুক্তভোগী বিধবা নারীকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে পেলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানানো হবে।