খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের নাম খাদিজা আক্তার (১৫)। সে ওই গ্রামের সিএনজি চালক শামীম মিয়া ওরফে (সামন) মেয়ে। সে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে খাদিজা তার বাবার কাছে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু অভাবের সংসার হওয়ায় তার বাবা কিছু দিন পরে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু সে আজকেই ফোন দিতে হবে বলে জেদ ধরে। পরে বাবা সিএনজি নিয়ে বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় রুমের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে খাদিজা। পরে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রাতে পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে নিহতের বাবা শামীম মিয়া বলেন, খাদিজা আমার কাছে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিতে বলে। কিন্তু জমিজমা চাষাবাদ করে আমার হাতে টাকা না থাকায় আমি এক মাস পরে মোবাইল কিনে দেওয়ার কথা বলে সিএনজি নিয়ে চলে যাই। সন্ধ্যায় খাদিজার মা জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর মো. মোবারক হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।