তিতাস নদীর বাঁকে বাঁকে
পালের নৌকা চলে,
মাঝি মাল্লার জিকির করে
জারি সারি বলে।
কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়
তবু শান্ত থাকে,
শীত প্রহরে দেখা মিলবে
চাদর বিছানো বুকে।
সৌন্দর্য যেথায় কাছে টানে
রাতে জোছনা হেসে,
যৌবন ক্ষুধা মিলন ঘটায়
বর্ষা ঋতু এসে।
হরেক রকম মাছের রাজ্য
জেলেরা মাছ ধরে,
কৃষক ফলায় সোনার ফসল
ধনুকে সেচ করে।
জল পিপাসা তৃষ্ণা মেটায়
মাতৃ দুগ্ধ রূপে,
মায়ার বাধন অবাক বিস্ময়
কোথাও নাহি পাবে।
মাছরাঙা আর বকের মেলা
নদীর পাড়ে পাড়ে,
গাপুস গুপুস পুঁটি সাবাড়
তাহার বুকে চড়ে।
গায়ের বধু গোমটা লাজুক
জল আনতে চায়,
নায়রি সব পঙ্খী নায়ে
কুটুম বাড়ি যায়।
ব্যস্ত তিতাস দিবা রাত্রি
কাটেনা কভু রেশ,
নদীর পাড়ে গ্রাম্য মেলা
জমে উঠে বেশ।
কলকলিয়ে ঢেউ খেলে যায়
স্বচ্ছ যত জল,
তিতাস প্রেমে বিভোর হবে
দেখবি যদি চল্।
তিতাস পাড়ে জন্ম সেথায়
বাঁকে বসত ঘর,
নদীর প্রেমে মুগ্ধ কবি
নাহি হবে পর।
(সাংবাদিক আদিত্য কামালকে উৎসর্গ করলাম)