এক চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জিল্লুর রহমান ও সিজিএসের ব্যাংক হিসাব, কার্ডে জমা ও উত্তোলন-সব ধরনের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। এসব হিসাবে বিদেশ থেকে অর্থ জমা হলে তার তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের একটি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হিসাব তলব করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের শরীয়তপুর জেলার বাড়িতে পুলিশ তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিল। ওই সময় জিল্লুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহের জন্য শরীয়তপুরে তার পৈতৃক বাড়িতে গেছে। এটা জেনে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় থাকেন, তার একটি অফিসও রয়েছে। কোনো তথ্য দরকার হলে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি তার কাছে যেতে পারতেন বা তাকে টেলিফোন করতে পারতেন। তারপরও তারা তার পৈতৃক বাড়িতে গেছেন।
তাকে, তার পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে বলে মনে করেন জিল্লুর রহমান। এছাড়া উপস্থাপক হিসেবে তার ভূমিকা এবং সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা তৈরির উদ্দেশ্যে পুলিশ এটা করেছে বলেও মত তার।
এ ঘটনায় তখন উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেন ২২ নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেন, সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মতো একজন প্রথিতযশা ও সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক।
তারা বলেন, জিল্লুর রহমানের এই অভিযোগ সংবিধানে উল্লিখিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকারগুলোর ব্যত্যয় হচ্ছে কি না এ নিয়ে জনমনে ভীতি ও শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।