হালিমা খানম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অসুখে বিসুখে অসুস্থতায় সৃষ্টিকর্তার পরেই মানুষ যাদের শরণাপন্ন হয় সেই মহান পেশার মানুষ হলো চিকিৎসক। সেবার ব্রত নিয়েই যারা নিজেদের আত্ম নিয়োগ করেন চিকিৎসাসেবার মতো মহৎ পেশায়। প্রতিটা সেক্টরেই ভাল মন্দ দুই শ্রেণীর মানুষ থাকে তেমনি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও আছে। রাগ অভিমানে এই পেশার মানুষকেই অনেক সময় কশাই বলতেও শোনা যায় আবার এই মানুষগুলোর দ্বারা উপকৃত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রাণভরে দোয়াও করেন অনেকে।
চিকিৎসাসেবা একটি অনন্য শিল্প বা সেবা। একে প্রায়োগিকভাবে রপ্ত করতে হয়। জানতে হয় বিস্তর। আত্মস্থ করতে হয় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে। সব কাজের মধ্যে যেমন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি আছে, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যেও তাই। সবকিছু ছাপিয়ে চিকিৎসকের উত্তম ব্যবহার, হাতের যশ, রোগ নির্ণয়, তার সঠিক চিকিৎসা প্রয়োগ। অনেক চিকিৎসক আছেন যাদের কোনো আবেগ ও হৃদয়ের ভাবাবেগ থাকে না। এ যেন রোবটিক ফাঁপা, নিষ্প্রাণ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা করা। এ রকম চিকিৎসকদের সাধারণ মানুষ মোটেই পছন্দ করেন না। চিকিৎসা করতে হয় রোগের ধরন বুঝে আর বাস্তবতা দিয়ে। তাহলেই রোগ দূরীভূত হবে। সেই রকম একজন ভাল মানের ও ভাল মনের একজন মানবিক চিকিৎসক তিনি।তার আচরণেই রোগীর ২০% রোগ ভাল হয়ে যায়। তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী ও অভিভাবকের অভিমত এটি। যার সম্পর্কে বলছিলাম তিনি হচ্ছেন গাইনি চিকিৎসক ডাক্তার ফারহানা ইয়াছমিন।
শৈশব থেকেই কেন যেন মানুষের সেবা করার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চেয়েছেন ডা.ফারহানা ইয়াছমিন। সেই চাওয়াটা তখন কেবল চাওয়াই ছিল। একটু যখন বড় হতে থাকেন তখন চাওয়াকে পাওয়াতে রূপান্তরিত করতে কীভাবে কাজ করবেন তাই ভাবছিলেন। মা- বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন। সেই স্বপ্নের মাঝে মেয়ে খুঁজে পান সেবা করার ব্রত। এখন শুধু সেবা করেই নয়, সেবার মাধ্যমে মানুষকে তৃপ্ত করে খুশী করতে চান ডাক্তার ফারহানা ইয়াছমিন । অবশেষে তিনি সে কাজ টি করতে পেরেছেন।সেবার মাধ্যমে মানুষকে খুশি করা সহ তিনি সব রোগীদের মন জয় করেছেন। তিনি স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা চিকিৎসক ও সার্জন। বর্তমানে তার কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাইভেট ক্লিনিক নাজ মেডিকেল সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে। তিনি প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সুনামের সাথে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
গরীবের ডাক্তার নামেই যার পরিচয় । তিনি গরীব অসহায় মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসাসেবার হাত বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্বপ্নই যার মানুষকে নিয়ে। কিন্তু প্রতিনিয়তই প্রচার বিমুখ মানুষটি। তাই তিনি কখনোই গণমাধ্যমে তার কাজগুলোকে প্রচার করার চেষ্টা করেনি।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এমন কথা এখন কাল্পনিক কথা বলেই মনে হয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি মানুষের হৃদয়ে মায়া মমতা বিচার বিবেক জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি না করতো তবে এসব কথা ইতিহাসের পাতায় আসতো না। আর এ মূল্যবান কথাটির যথার্থ খুঁজে পাওয়া যায় গাইনি চিকিৎসক ডা.ফারহানা ইয়াছমিনের জীবনাদর্শে।
অবসর সময়ে তার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষগুলোর কাছে থেকে ভিজিট নেন না তিনি। কাউকে বাধ্য করেন না ভিজিট দিতে। গরীব অসহায়দের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়ে যান। তিনি অনেক রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুনাম কুঁড়িয়েছেন।রোগীরাও তার কাছ থেকে সঠিক চিকিৎসা সেবা ও ভালো ব্যবহার পেয়ে সন্তষ্ট প্রকাশ করেছেন।মন দিয়ে রোগীর সব কথাই শোনেন তিনি। সমস্যার কথা শুনে সঠিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন এই ডাক্তার ।
অনেক অসহায় রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ডা.ফারাহানা ইয়াছমিন একজন ভালো মানুষ। তিনি গরীব অসহায় মানুষের কথা ভাবে প্রতিনিয়ত। গরীব অসহায় মানুষের কাছে চিকিৎসা ফি নেন না।অনেক সময় তিনি পরীক্ষা নিরিক্ষাও ফ্রী করিয়ে দেন। এইভাবেই তিনি সব রোগীদের মন জয় করেছেন।
একজন গরীব অসহায় রোগী আসমা বলেন- আমার অনেক সমস্যা ছিল চিকিৎসা নিয়ে ভাল আছি আবার দেখা করতে এসেছি, আমরা গরীব শুনে তিনি পরামর্শ ফি নেন নি, ওনার কথা আচার ব্যবহার খুব ভাল। ওনি আসলে ডাক্তার নয় আল্লাহ মনে হয় ওনাকে দেবতা হিসাবে পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করতে।
এ ব্যাপারে ডা.ফারহানা ইয়াছমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ।আমি শুধু একটা জিনিস চেষ্টা করি,কেউ আমার কাছে কোন বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে আমি “না ” করি খুব কম। নিজে সরাসরি বা চিকিৎসা জ্ঞান দিয়ে বা কোন বিশেষ পরামর্শ দিয়ে বা কথা দিয়ে বা ফোন করে বা কোন সুপারিশ করে বা কোথাও রেফার্ড করে বা কোথায় গেলে রোগী তার কাংখিত সেবা পেতে পারেন সেটা তাকে দেখিয়ে দেই। যত দিন এই পেশায় আছি ততো দিন মানব সেবা ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। এই আলোকে আমি আমার ভবিষ্যত সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে চাই ইনশাআল্লাহ।