মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন -কোহিনূর আক্তার প্রিয়া

মতামত, 1 May 2023, 130 বার পড়া হয়েছে,
আজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

হে মার্কেটে আহূত ধর্মঘটী শ্রমিক সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। গুলিতে মারা যান ৬ শ্রমিক। এর প্রতিবাদে ৪ মে হাজার হাজার শ্রমিক ফেটে পড়েছিলেন বিক্ষোভে। সেদিনও পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন।

এ তো গেল আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের প্রারম্ভিক বিবর্ণ অধ্যায়; যা মে দিবস হিসাবেও দুনিয়াজুড়ে স্বীকৃত। রবীন্দ্রনাথের একটি মূল্যবান উক্তি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালানোর আগে সারাদিনের সলতে পাকানো। আর এই সলতে পাকানোর বিরাট কার্যক্রম উল্লেখ করতে গিয়ে ১৭৬০ সালের ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব এখানে সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সমাজ বিনির্মাণের কয়েকটি স্তর চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক ও বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে, আদিম সমাজ থেকে বর্তমান সমাজব্যবস্থায় মানবজাতি পাঁচটি সামাজিক স্তর পার করেছে বা করছে। যেখানে আবার আমাদের পাক-ভারতীয় সমাজ কাঠামোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমাজ বিকাশের পাঁচটি স্তরে প্রাথমিক বা আদিম সমাজের স্থায়িত্ব নাকি অনেক দীর্ঘ ছিল এবং সেটা ছিল বৈষম্যহীন এক সাম্যবাদী সমাজ কাঠামো। আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গান ঊনবিংশ শতাব্দীতে তার এক গবেষণালব্ধ তথ্যে প্রমাণ করেন, প্রাথমিকভাবে সমাজ তিনটি স্তর অতিক্রম করে। ক. বন্য দশা; খ. বর্বর দশা এবং গ. সর্বশেষ সভ্যতা। আর একক পরিবারের ভিত্তিই এ সভ্যতাকে তার নিজস্ব গতিপথ তৈরি করে দেয়।

আদিম সমাজের পর যে সমাজ মানবজাতিকে নতুন পথ দেখায়, তা দাস উৎপাদন পদ্ধতি। ক্রমান্বয়ে সেখান থেকে সামন্তপ্রথা, পরবর্র্তী সময়ে পুঁজিবাদী সমাজ বিকাশ, সর্বশেষ সমাজতন্ত্র শেষ পর্যায়ে সাম্যবাদে উপনীত হয়। বিশ্বের প্রতিটি সমাজের বেলায় এমন প্রায়োগিক তত্ত্ব মেলানো যায়নি। বিশেষ করে অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের ক্ষেত্রে তো নয়ই। এমনকি এশিয়া মহাদেশও ভিন্নভাবে তার সমাজ বিকাশের ক্ষেত্রকে অন্য আঙ্গিকে উন্মোচন করেছে। সেখানে দাস সমাজ থেকে শুরু করে পুঁজিবাদী সমাজেও শ্রম বিনিয়োগকারী শ্রেণির শোষণ-বঞ্চনা সেই পুরাকালের ইতিবৃত্ত। আধুনিক শিল্পবিপ্লবের ফলস্বরূপ যে নতুন সমাজ কাঠামো তৈরি হতে থাকে, সেখানে বিজ্ঞানের অবিস্মরণীয় অবদানে ধনবাদী সমাজ যে মাত্রায় লভ্যাংশ অর্জন করে, সেখানে সিংহভাগ অর্থবিত্ত চলে যায় ধনকুবেরদের জিম্মায়। আর শ্রমিকরা নাকি তার মূল্যবান শ্রম ছাড়া সবকিছু হারাতে বসে। অর্থনীতিবিদ আর সমাজবিজ্ঞানীরা প্রশ্ন তোলেন-যে টাকা পুঁজিপতি তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, সেখানে লভ্যাংশ এত বেশি কী করে আসে? এর উত্তরও সমাজ বিশ্লেষকরা দিতে দ্বিধা করেননি। সেখানেও নাকি মূল নিয়ামক শক্তি হলো সর্বস্ব হারানো শ্রমজীবীরা। শ্রমিক কারখানায় যে শ্রম দেয়, সেটা নাকি তার অফুরান শ্রমশক্তি, যাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা-১. আবশ্যিক শ্রম; ২. উদ্বৃত্ত শ্রম। আবশ্যিক শ্রমের বিনিময়ে শ্রমিক শুধু মজুরি পায়। আর উদ্বৃত্ত শ্রমের বদৌলতে সে কারখানার মালিকের জন্য বাড়তি মূল্য তৈরি করে। বলা হচ্ছে, পুঁজিবাদী সমাজ পণ্য বিকাশের এমন একটি স্তর, যেখানে শ্রমিকের শ্রমশক্তি নিজেই পণ্যে পরিণত হয়। আর সেই মূল্যবান শ্রমশক্তি নাকি নিজের মূল্যের চেয়েও অধিক মুনাফা অর্জনে সক্ষম।

সংগত কারণে ১৭৬০ সালে শিল্পবিপ্লবের ফলে যে নতুন ধনবাদী সভ্যতা পণ্য বিকাশের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চমক তৈরি করে, সেখানে আরও বেশি নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হতে থাকে শ্রমিকরা। সেটা বুঝতেও তাদের এক শতক পার করে দিতে হয়েছে। ইতিহাসবিদরা অভিমত দেন-১৭৫৭ সালে ক্লাইভের হাতে বাংলার পতন না হলে ১৭৬০ সালে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব হতো কিনা সন্দেহ। জেমস ওয়াট কর্তৃক স্টিম ইঞ্জিনের আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ধনবাদী সভ্যতায় বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার যে দৃষ্টান্ত মেলে, সেখানে সহায়ক শক্তির ভূমিকায় ছিল অবিভক্ত বাংলা থেকে পাচার করা সিংহভাগ সম্পদ। ইংরেজ ইতিহাসবিদরাও স্বীকার করেছেন, জেমস ওয়াটের আগেও বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সলিল সমাধি ঘটেছিল শুধু অর্থ সংযোগের অভাবে।

সেই শিল্পবিপ্লবের শতবর্ষ পরে শ্রমিক শ্রেণির বোধগম্য হতে থাকে তাদের সহায়-সম্বলহীন জীবনের দৈন্যতা। বুঝতে সময় লাগলেও একসময় নির্দ্বিধায় দাবি তুলে বসে তাদের মজুরি বৃদ্ধি ছাড়াও শ্রমঘণ্টা কমানো অত্যন্ত জরুরি। ১৮৮৬ সালে এর শুভযাত্রা হলেও তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে সময় লেগেছে। আবার ১৭৮৯ সালে তাবৎ বিশ্ব অনুধাবন করল ফরাসি বিপ্লবের সাম্য, মৈত্রী ও একতার বার্তাটি। সেটাও ধনবাদী সভ্যতার আরেক কূটকৌশল বলে অভিহিত করেন বহু সংশ্লিষ্ট পণ্ডিত। ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। পরবর্তী সময়ে ঘটনাক্রমে ১৮৯৪ সালে মে দিবসের দাঙ্গার পরিস্থিতি ঘটে। ১৯০৪ সালে সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে মে দিবসের তাৎপর্যে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপিত হতে থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা ছিল মে দিবসকে বিশ্বব্যাপী নজরকাড়া করে প্রতিষ্ঠা দেওয়া। শুধু তাই নয়, ওই একই দিনে সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষ মিছিল, সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও শান্তির বার্তায় একতাবদ্ধ হয়ে তাদের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করতে দ্বিধাহীন থাকাটাই জরুরি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রতিবছর ১ মে বাধ্যতামূলক কাজ না করার অঙ্গীকারও সংশ্লিষ্টদের অনমনীয় চেতনায় ভর করে। আমাদের বাংলাদেশ মে দিবসের মহান তাৎপর্যে দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসাবে অনুমোদন দেয়। বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক কতিপয় দেশে মে দিবসের মাহাত্ম্যকে আরও কার্যকর পদক্ষেপে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আমলে নেওয়াও এক ধরনের সচেতন দায়বদ্ধতা।

তবে এখানে উল্লেখ্য, মে দিবসের মহান ব্রতে শুধু শ্রমঘণ্টা কমানো নিয়ে সংশ্লিষ্টরা দমে থাকেনি। সেখানে আরও অনেক মানবিক কর্মযোগ সংশ্লিষ্ট করার ফলে শ্রমিক শ্রেণির সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিও ক্রমান্বয়ে গুরুত্ব পেতে থাকে। বৈষম্যহীন কর্মযোগ ছাড়াও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ এবং স্বাচ্ছন্দ্য ও সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ তৈরি করাও পরিস্থিতির ন্যায্য দাবি হয়ে যায়। সামনে চলে আসে শারীরিকভাবে দুর্বল ও অপেক্ষাকৃত পেছনে পড়া সমসংখ্যক নারীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিষয়ক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার বলয় তৈরি করে তাদের জীবনমান সমুন্নত রাখার বিষয়টিও সমধিক প্রাধান্য পায়। এছাড়া শ্রমিকের বৈধ নাগরিক ও আইনগত অধিকারও যাতে শোষণ-বঞ্চনার শিকার না হয়, সেটাও নজরদারিতে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার গুরুত্বকেও আমলে আনা হয়। সুতরাং, আন্তর্জাতিক মে দিবসের তাৎপর্য যেমন বহুবিধ, তেমনি সংশ্লিষ্টদের উন্নত জীবনমান সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

১৭৬০ সালে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব আধুনিক সমাজব্যবস্থায় যে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিল, তার যাত্রা কত সুদূরপ্রসারী, তা সত্যিই ভাবার বিষয়। সেই অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে নতুন যে সমাজ বিনির্মাণের স্তর আজও বিরতিহীনভাবে সমানতালে এগিয়ে চলেছে, সেখানে সিংহভাগ মানুষই শোষণ-বঞ্চনার শিকার। উপরের স্তরের মুষ্টিমেয় ধনকুবের যে লাগামহীন অর্থ উপার্জন করেন, তা-ও আধুনিক সভ্য সমাজের জন্য নানামাত্রিক বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। বাংলা ১১৭৬ আর খ্রিষ্টীয় ১৭৭০ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বাংলার এক-তৃতীয়াংশ লোকক্ষয়ের নিদারুণ ঘটনা আজও শিহরিত হওয়ার মতো। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অবিভক্ত বাংলায় এসেছিল বাণিজ্য করতে। বাণিজ্যিক পুঁজি সংগ্রহেও তাদের চেষ্টা ও উদ্যম ছিল নিরন্তর; যা শুধু ইউরোপের শিল্পবিপ্লবই নয়, সিংহভাগ শ্রমজীবী মানুষের জীবনকেও করে তোলে দুর্বিষহ। শুধু কি তাই? শিল্পবিপ্লবের আরেক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় সারা পৃথিবী যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কোপানলে আবর্তিত, সেটাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় এনে ভূপৃষ্ঠের যথাযথ উষ্ণতা ফিরিয়ে দেওয়াও যেন হয় আন্তর্জাতিক মে দিবসের দৃঢ় অঙ্গীকার। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় যেন দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে না ওঠে। এ মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে দেখা দিচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণ আবহাওয়ার ফলে সৃষ্ট দাবানল; যা শিল্প থেকে অত্যধিক মাত্রায় কার্বন নিঃসরণের একটি প্রতিক্রিয়া। এ মুহূর্তে প্রকৃতি সহায়ক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ছাড়া এ পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে, যেখানে মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিও সুরক্ষিত থাকতে হিমশিম খাবেন।

আধুনিক বিজ্ঞান সমাজসভ্যতার চিরস্থায়ী সম্পদ। কিন্তু সেখানে যদি দুষ্টচক্র সামগ্রিক অর্জনকে নয়ছয় করে দেয়, সেটাও বিবেচনায় আনতে সবাইকে সচেতন দায়বদ্ধতায় এগিয়ে আসতে হবে। ভূপৃষ্ঠের চরম উষ্ণতা হিসাবে বারবার দায়ী করা হচ্ছে অত্যধিক কার্বন নিঃসরণকে, যা কয়লা-বিদ্যুৎ উৎপাদনেরও একটি প্রতিক্রিয়া। আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে নিরাপদ বিশ্বের সুরক্ষিত বলয় সৃষ্টির বিষয়টিও সমধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত। শান্ত, স্নিগ্ধ প্রকৃতি যদি তার সন্তানদের বাসযোগ্য বলয় থেকে ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যায়, সেটাও মানুষ এবং শিল্পোন্নত সমাজের কাঙ্ক্ষিত যাত্রাপথ নয়। সবার আগে গোটা পৃথিবীকে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঢেকে দিতে হবে। উষ্ণ অবস্থা থেকে পৃথিবীকে সহনীয় মাত্রায় ফেরাতে গেলে শিল্পের মাত্রাতিরিক্ত দূষণকে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি; যা আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের হাতের বাইরে এখনো চলে যায়নি। ধরিত্রী রক্ষার উচ্চকণ্ঠ আওয়াজে সবার আগে শিল্প দূষণের লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে বিশ্ব আজ সোচ্চার। তাই শ্রম দিবসের চিরায়িত অঙ্গীকারে প্রকৃতিকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রত্যয়ও উঠে আসুক অভিন্ন বার্তায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যদি নিরাপদ, সুস্থির থাকতে না পারে, তাহলে পৃথিবীটাই বসবাসের অযোগ্য হতে সময় নেবে না।

পহেলা মে শুধু আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের জন্যই নয়; বরং এটি শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের এক প্রতিশ্রুতি। অর্থাৎ শুধু দিবস হিসেবে এটিকে পালন না করে রক্ষা করতে হবে এর যথার্থ মর্মার্থ। সঠিক অধিকার ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বজায় থাকুক শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে। কারণ তারা আমাদের দেশের অগ্রগতিতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে যাচ্ছে। তাই তাদের যথার্থ অধিকার নিশ্চিত একান্তই কাম্য।

-কোহিনূর আক্তার প্রিয়া,বিশিষ্ট সমাজ সেবক