জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে শেরপুর কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের আগরতলা দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে দেশে আনা হয় রিয়াজ উদ্দিন জামির কফিনবন্দি মরদেহ। এর আগে আগরতলা প্রেসক্লাব চত্বরে তাঁর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি ভারতীয় হাই কমিশন থেকেও তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
জামির মরদেহ দেশে আসামাত্রই এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজন, সহকর্মীসহ সবার বুকফাঁটা আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। পরে তাঁর মরদেহ নিজ বাড়ি শহরের কালাইশ্রীপাড়ার বাসভবনে আনা হয়। সেখানে তাঁকে এক নজর দেখতে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। পরে তাঁর মরদেহ দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর সহকর্মীরা কফিনে শেষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
রিয়াজ উদ্দিন জামি ১৯৭৪ সালের ৩০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা অধ্যাপক আব্দুস সাহিদ ও মা ফাতেমা বেগম। ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। তিনি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, দৈনিক জনকণ্ঠে কাজ করতেন। এ ছাড়া তিনি একুশে টেলিভিশন, এনটিভি, আরটিভি, বাংলাদেশ বেতারেও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে