সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে বন্যার পানি চলে আসায় বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান উড্ডয়ন কিংবা অন্য কোথাও থেকে বিমান অবতরণ করবে না।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বন্যার পানি বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে চলে এসেছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিমানবন্দরের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
তবে আপাতত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র রক্ষা করতে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে গ্রিড উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর ১২টা থেকে জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীরা কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে সিলেট শহরে অন্তত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। এরই মধ্যে সিলেটের সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তবে সিলেট শহরকে কত সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যাবে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। বন্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরেও ঢুকে পড়েছে পানি।