সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে: কওমী ছাত্র সমাজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 14 August 2024, 22 বার পড়া হয়েছে,
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কওমী ছাত্র সমাজ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের পুরোহিতরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাফেজ আল মেহরাব শাওয়াল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারি সরকারের পতনের পর জেলার সনাতনী ধর্মের অনুসারীসহ সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও তালিমিয়ার পরামর্শে কওমী ছাত্ররা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য শহরের মেড্ডা কালভৈরব মন্দির, আনন্দময়ী কালিমন্দির, দক্ষিণ কালীবাড়ি মন্দিরসহ জেলার ছোট-বড় সকল উপাসনালয়ে পাহাড়া দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে বলে একটি কুচক্রী মহল গুজব ছড়িয়ে আসছে। কুচক্রী মহলের পরামর্শে ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিছু সংখ্যালঘু ভাইদেরকে মাঠে নামিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। পরাজিত স্বৈরশক্তি পাশের একটি দেশে বসে নীল নকশা বাস্তবায়নে নতুন করে বাংলাদেশকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে কিছু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার খবর এলেও তা ধর্মীয় কারণে নয়, নিছক রাজনৈতিক কারণে। হিন্দু আওয়ামীলীগ কিছু নেতার বাড়ি-ঘরে আক্রমণকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণ হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু আমরা সম্প্রীতির মেলবন্ধন অটুট রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুফতি জাকারিয়া খান, কওমী ছাত্র সমাজের পক্ষে মাদরাসা ছাত্র হাফেজ ফখরুল হাসান, হাজেফ তারেক জামিল, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, কালভৈরব মন্দিরের পুরোহিত জীবন কুমার চক্রবর্তী, আনন্দময়ী কালি মন্দিরের পুরোহিত রাকেশ বনিক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে পুরোহিতরা জানান, মাদরাসার ছাত্ররা প্রতিদিন রাতজেগে মন্দিরগুলোতে পাহারা দিচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন সংখ্যালঘুর উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি। এখন পর্যন্ত রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনা, কারণ তাদের সাথে রাত জেগে পাহারা দিতে হয়।