নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সাংবাদিকসহ তিনজনের ওপর হামলার ঘটনা বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১২টায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আখাউড়ার দেবগ্রাম এলাকার সুমন ভূইয়া (৪০) ও তার পিতা মাহফুজ ভূইয়া (৬৫)।
মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন। চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন ভূইয়া। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা সালমা আক্তার চিকিৎসকের ভিজিট চান সুমনের কাছে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। চিকিৎসকের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। এর আধা ঘণ্টা পর সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।
সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পাল নামের দুজনকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রাতে হাসপাতালের পরিচালক আশিষ সাহা সুমন ভূইয়া সহ ৪জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী সুমম ভূইয়া ও তার বাবা মাহফুজ ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।