মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ কসবা-আখাউড়া আসনটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে আওয়ামিীলীগ মনোনীত প্রার্থী আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক লড়ছেন একেবারে অপরিচিতদের সাথে। ফলে এ আসনে কোন নির্বাচনী উত্তাপ নেই। তার সাথে লড়ছেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা প্রতীক)। ফলে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় এলাকায় হাস্য রসের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় অত্যন্ত সুসংগঠিত থাকায় নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন।
জানা যায়, বিগত ১০ বছর আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এলাকার উন্নয়ন ও বেকারদের কর্মসংস্থানে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। যার ধরুন সাধারণ মানুষও তার প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছে।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন জানান, কসবা আখাউড়ায় আনিসুল হকের বিকল্প নেই। তিনি এলাকায় ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও বিদ্যুৎতায়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। যা বিগত ৪২ বছরের ইতিহাসে বিরল। তিনি আরও জানান, আমরা দলীয়ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদয় অপরিচত হওয়ায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, শক্তিশালী প্রার্থী থাকলেও আনিসুল হকের বিজয় ছিল সুনিশ্চিত।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল জানান, আমরা দলীয়ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। মানুষ আনিসুল হকের পক্ষে রয়েছে। কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান
ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মনির হোসেন জানান, এডভোকেট আনিসুল হক অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী। বিগত ১০ বছরে তিনি এলাকায় যে উন্নয়ন করেছেন তাতে তিনি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। প্রতিপক্ষ অপরিচিত হওয়ায় তিনিও হতাশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, আনিসুল হক এলাকায় প্রতিনিয়ত গণসংযোগ, সভা সমাবেশ প্রতিনিয়ত অব্যাহত রেখেছিলেন।