বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের (নাসিক) ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এবার ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে বিকাল চারটায়। তারপর থেকে অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ইভিএমে ভোট হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে, কে হচ্ছেন নারায়ণঞ্জ শহরের পরবর্তী মেয়র। এরই মধ্যে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫৪টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৮৮ ভোট। অন্যদিকে হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৪৫ ভোট।
এবারই প্রথম পুরো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইভিএমে ভোট হল। বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুপুর পর্যন্ত কোনো কোনো কেন্দ্রে ৩০-৩৫% ভোট পড়ার তথ্য তিনি পেয়েছেন। বিকালে ভোট শেষে আদালত ভবন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আইয়ুব আলী ভুইয়া জানান, তার কেন্দ্রে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে তার ধারণা।
২০১১ সালে এ সিটির নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৯ শতাংশ; তবে ২০১৬ সালে তা কমে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশে দাঁড়ায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এবার ৫ লাখ ১৭ হাজারের ভোটারের মধ্যে কত শতাংশ ভোট দেন, তাই এখন দেখার বিষয়।
আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)। -যুগান্তর