মঙ্গলবার ২ এপ্রিল সকাল ৮টা ১৫ মিঃ থেকে আগরতলার ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিলে বন্ধ হয়ে পড়ে দু’ দেশের যাত্রী পারাপার। এতে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটকে পড়া যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর
ঘন্টা।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রুটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে স্বাভাবিক পারপার বন্ধ থাকাকালীন সময়ে যাদের ভারতের বিমানের টিকেটবাহীদের জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠানোর পর সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে।
এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোন যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাও শূণ্য রেখায় আসে। আমরাও শূণ্য রেখায় যাই। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা আমাদেরকে বলেন, যে সকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিন বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকেট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি। তবে সোয়া বারোটার পর পুনরায় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিকভাবে চলে। এদিকে সমস্যার কারণে দু’ দেশের আটকে পড়া যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা চিত্ত দে নামে এক যাত্রী বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলা যাওয়ার জন্য। এসে শুনি আগরতলার সার্ভার ডাউন। প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা খুবই কষ্টদায়ক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়গুলো দেখা উচিত।
ভারতীয় যাত্রী দীপ্ত দেব বলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলাম। আজ ফিরে যাচ্ছি, সকালে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এসে শুনেছি ভারতের ইমিগ্রেশন সার্ভারে সমস্যা। তাই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন শুনেছি সার্ভার ঠিক হয়েছে। তবে এ ধরনের ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না। এখানে অনেক যাত্রীদের কষ্ট করতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী শিশু ও বৃদ্ধদের বিড়ম্বনা সীমাহীন।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম বলেন, বেলা সোয়া ১২ টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।