কিশোরীর গলাকাটা লাশের পাশে কাতরাচ্ছিল রক্তাক্ত কিশোর

সারাদেশ, 27 October 2021, 429 বার পড়া হয়েছে,

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একই স্থান থেকে গলাকাটা অপর এক কিশোরকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজের সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই কিশোরীর নাম সুমাইয়া আক্তার (১৬)। সে কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। পরিবারসহ এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। সে এলেঙ্গা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আহত ওই কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। সে বাসচালকের সহকারী।

নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান জানান, সকাল ৬টায় তার মেয়ে প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পাই যে, তার মেয়েকে (সুমাইয়া) কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চিনেন না বলে জানান।

আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে সে চেনে না।

কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই কিশোর জীবিত ছিল।

পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

তবে প্রেমঘটিত কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারাণা করা হচ্ছে। (যুগান্তর)