সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে অনেকটা আকস্মিকভাবে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফাজিল চৌধুরীর অনুসারীরা ও পদবঞ্চিতরা কমিটি মেনে নিতে পারেননি। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্র ও শনিবার এ ঘটনায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক ভিপি শামিমসহ কয়েকজন নেতার বাড়িতে পদবঞ্চিতরা হামলা ও ভাঙচুর চালান।
সোমবার লোকনাথ ট্যাংক এলাকায় দুই গ্রুপ আলাদা কর্মসূচির ডাক দেয়। এতে কোনো পক্ষই পুলিশের অনুমতি পায়নি। তাই নতুন আহ্বায়ক কমিটি স্থান পরিবর্তন করে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আনন্দ মিছিল করার জন্য বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদ্য সাবেক কমিটির আহ্বায়ক ফাজিল চৌধুরী ও পদবঞ্চিতরা একই স্থানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল ও লাঠিপেটা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। শহরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে গত দুই দিনে ছাত্রদলের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আজকের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে