কাকে জানি বলেছিলাম চলো ঘুরতে যাবো
চার দেওয়ালের ভিতর চড়ুইপাখির মতো নিত্য যন্ত্রণা দগ্ধতা ব্যস্ততার তেজে হাঁপিয়ে ওঠেছি
তুমি বললে
দাঁড়াও আসছি
বারোহাত শাড়ি পেঁচিয়ে এত্তো অঞ্জলি দিলে আমায়
আমার তখোন খিদে পেয়েছে
পা দুখানি মাটির সাথে গেঁথে বৃক্ষমানব হয়ে গেছি
অর্ধডজন রিকসাকে পরপর দাঁড় করিয়ে চকচকে দশ টাকার নোট আর সরি উপহার দিলাম
যাবো কখন
ফিরবো কবে
বুঝতে পারছি না
জিরাফের মতো লম্বা হাবাগোবা গলায় ডাকতেই তোমার জবাব
এই তো শেষ
দু মিনিট
আসছি-
ষাঁড়ের মতো কতো যে চেঁচাতে পারে
বাহ বা!
আমি গাছ থেকে ষাঁড় হলাম
মন মগজে কারফিউ শিথিল হয়েছে
তুমি বেরিয়ে এসেছো
পাশে দাঁড়িয়েও পরখ করছো সাজগোজ বুঝতে পারি নি
এবার যদি গাঁধা হয়ে যাই এই ভয়ে আমি স্লিম স্বরে আবারও ডাকলাম
তুমি চিৎকার করে বললে-চশমার পাওয়ার বাড়াও
নাকি দেখেও না দেখার ভান!
ঢঙ কতো!
আমি পেছন ফিরে তাকাই
বানিজ্যিক ময়দা মিলের কর্মচারীর মতো তাকে
চিনতে বেশ সময় লাগলো
মেঘলা আকাশ
একটাও রিকসা নেই আশে পাশে
হঠাৎই ঝমঝম করে শুরু হলো বৃষ্টি
আমার আগেই তুমি দৌড়ে ঢুকে গেছো ঘরে
ঘরে মানে ওয়াশরুম।